পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○Vり রবীন্দ্র-রচনাবলী বিপিন । (ঈষৎ হাসিয়া) যা বল ভাই, এ ঘরটি চিরকুমার-সভার উপযুক্ত নয় । 5ीश। (प्रकिऊ श्शा) एकन नश । বিপিন ।। ঘরের সজাগুলি তোমার নবীন সন্ন্যাসীদের পক্ষেও যেন বেশি বোধ হচ্ছে । শ্ৰীশ । আমার সন্ন্যাসধর্মের পক্ষে বেশি কিছু হতে পারে না । বিপিন । কেবল নারী ছাড়া । শ্ৰীশ । ইয, ঐ একটিমাত্র । অন্য দিনের মতো কথাটায় তেমন জোর পীে ছিল না। বিপিন । দেয়ালের ছবি এবং অন্যান্য পাচরকমে এ ঘরটিতে সেই নারীজাতির অনেকগুলি পরিচয় পাওয়া যায় যেন । শ্ৰীশ । সংসারে নারীজাতির পরিচয় তো সর্বত্রই আছে । বিপিন । তা তো বটেই। কবিদের কথা যদি বিশ্বাস করা যায় তা হলে চাঁদে ফুলে লতায় পাতায় কোনোখানেই নারীজাতির পরিচয় থেকে হতভাগ্য পুরুষমানুষের নিষ্কৃতি পাবার জো নেই। শ্ৰীশ । (হাসিয়া) কেবল ভেবেছিলুম, চন্দ্রবাবুর বাসার সেই একতলার ঘরটিতে রমণীর কোনো সংস্রব ছিল না । আজ সে ভ্রমটা হঠাৎ ভেঙে গেল । নাঃ, ওরা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে। বিপিন । বেচারা চিরকুমার কাটির জন্যে একটা কোনো ফাক রাখেনি। সভা করবার জায়গা পাওয়াই tr শ্ৰীশ । এই দেখো-না । কোণের একটা টিপাই হইতে গোটা দুয়েক চুলের কাটা তুলিয়া দেখাইল বিপিন । (কাটা দুটি লইয়া পর্যবেক্ষণ করিয়া) ওহে ভাই, এ স্থানটা তো কুমারদের পক্ষে নিষ্কণ্টক নয় । শ্ৰীশ । ফুলও আছে, কঁাটাও আছে। বিপিন । সেইটেই তো বিপদ। কেবল কঁাটা থাকলে এড়িয়ে চলা যায়। শ্ৰীশ অপর কোণের ছোটো বইয়ের শেলফ হইতে বইগুলি তুলিয়া দেখিতে লাগিল- কতকগুলি নভেল কতকগুলি ইংরাজি কাব্যসংগ্ৰহ। প্যালগ্ৰেভের গীতিকাব্যের স্বৰ্ণভাণ্ডার খুলিয়া দেখিল মার্জিনে মেয়েলি অক্ষরে নোট লেখা- তখন গোড়ার পাতাটা উলটাইয়া দেখিল দেখিয়া একটু নাডিয়া-চাড়িয়া বিপিনের সম্মুখে ধারিল বিপিন । নৃপবালা ! আমার বিশ্বাস নামটি পুরুষমানুষের নয়। কী বোধ করা। শ্ৰীশ । আমারও সেই বিশ্বাস । এ নামটিও অন্যজাতীয় বলে ঠেকছে হে । আর-একটা বই দেখাইল বিপিন । নীরবালা ! এ নামটি কাব্যগ্রন্থে চলে কিন্তু কুমার-সভায় শ্ৰীশ । কুমার-সভাতেও এই নামধারিণীরা যদি চলে আসেন তা হলে দ্বাররোধ করতে পারি। এত বড়ো বলবান তো আমাদের মধ্যে কাউকে দেখি নে । বিপিন । পূৰ্ণ তো একটি আঘাতেই আহত হয়ে পড়ল, রক্ষা পায় কি না সন্দেহ। শ্ৰীশ । কি রকম । বিপিন । লক্ষ্য করে দেখ নি বুঝি ? শ্ৰীশ । না না, ও তোমার অনুমান । বিপিন । হৃদয়টা তো অনুমানেরই জিনিস- না যায় দেখা, না যায় ধরা । শ্ৰীশ । পুর্ণর অসুখটাও তা হলে বৈদ্যশাস্ত্রের অন্তর্গত নয় ? বিপিন । না, এ-সকল ব্যাধি সম্বন্ধে মেডিকাল কলেজে কোনো লেকচার চলে না ।