পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিরকুমার-সভা 88. ভূত্যের প্রবেশ ভূত্য । (শ্ৰীশের প্রতি) চন্দ্রবাবুর চিঠি নিয়ে একটি লোক আপনার বাড়ি খুঁজে শেষকালে এখানে céGYC2 | শ্ৰীশ । (চিঠি পড়িয়া) একটু অপেক্ষা করবেন ? চন্দ্রবাবুর বাড়ি কাছেই- আমি একবার চট করে দেখা করে আসব । शिक्नवांवों । १ोव्नांदन नां (डों ? শ্ৰীশ । না, আমার রুমাল বন্ধক রইল, ওখানা খালাস না করে যাচ্ছি নে । [প্ৰস্থান রসিক । ভাই শৈল, কুমারসভার সভ্যগুলিকে যেরকম ভয়ংকর কুমার ঠাউরেছিলুম তার কিছুই নয়। এদের তপস্যা ভঙ্গ করতে মেনকা রম্ভা মদন বসন্ত কারও দরকার হয় না, এই বুড়ো রসিকই পারে। শৈলবালা । তাই তো দেখছি । রসিক । আসল কথাটা কী জান ? যিনি দাৰ্জিলিঙে থাকেন। তিনি ম্যালেরিয়ার দেশে পা বাড়াবামাত্রই রোগে চেপে ধরে । এঁরা এতকাল চন্দ্রবাবুর বাসায় বডড নীরোগ জায়গায় ছিলেন, এই বাড়িটি যে রোগের বীজে ভরা । এখানকার রুমালে বইয়ে চৌকিতে টেবিলে যেখানে স্পর্শ করছেন সেইখান থেকেই একেবারে নাকে মুখে রোগ ঢুকছে- আহা, শ্ৰীশবাবুট গেল । শৈলবালা । রসিকদাদা, তোমার বুঝি রোগের বীজ অভ্যোস হয়ে গেছে। রসিক । আমার কথা ছেড়ে দাও । আমার পিলে যকৃৎ যা-কিছু হবার তা হয়ে গেছে। নীরবালার প্রবেশ নীরবালা । দিদি, আমরা পাশের ঘরেই ছিলুম। রসিক । জেলেরা জাল টানাটানি করে মরছে, আর চিল বসে আছে ছো। মারবার জন্যে । নীরবালা । সেজদিদির রুমালখানা নিয়ে শ্ৰীশবাবু কী কাণ্ডটাই করলে । সেজদিদি তো লজ্জায় লাল হয়ে পালিয়ে গেছে । আমি এমনি বোকা ভুলেও কিছু ফেলে যাই নি । বারোখানা রুমাল এনেছি, ভাবছি এবার ঘরের মধ্যে রুমালের হরির লুঠ দিয়ে যাব । শৈলবালা । তোর হাতে ও কিসের খাতা নীর । নীরবালা । যে গানগুলো আমার পছন্দ হয় ওতে লিখে রাখি দিদি । রসিক । ছোড়দিদি, আজকাল তোর কিরকম পারমর্থিক গান পছন্দ হচ্ছে তার এক-আধটা নমুনা দেখতে পারি কি । নীরবালা ।- দিন গেল রে, ডাক দিয়ে নে পারের খেয়াচুকিয়ে হিসেব মিটিয়ে দে তোর দেয়া-নেয়া । রসিক । দিদি ভারি ব্যস্ত যে, । পার করবার নেয়ে ডেকে দিচ্ছি। ভাই । যা দেবে যা নেবে সেটা মাকাবিলায় ঠিক করে নিয়ো । নীরবালা ।-- গান জ্বলে নি আলো অন্ধকারে, দাও না সাড়া কি তাই বারে বারে । তোমার বঁাশি আমার বাজে বুকে কঠিন দুখে, গভীর সুখে যে জানে না পথ কাদাও তারে । মন যে কী চায় তা মনই জানে ! brl (SqN