A too রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী
আকাশের স্তবগান ফুটাইয়া তুলে
তিনীল তিনাল ফুলে ফুলে — সে-পুলক নেব মোর সর্বদেহ ভরি’ রক্তের লহরী উঠিবে উচ্ছলি । বসন্তে কুঞ্জের গলি
সুগন্ধিচ্ছায়ায়,
“জন্মদিন’ কবিতা পাণ্ডুলিপিতে বর্জন চিহ্নিত রচনাংশবর্তমান রচনাবলীর ১২৫ পৃষ্ঠার চতুর্দশ ও পঞ্চদশ পঙক্তির মধ্যে ।
কবি আমি কারো শুরু নাই । জানি না। কী আছে হোথা কৈবল্যের পারে
বৈকুণ্ঠের ধারে ।
“পাছ কবিতার প্রথম পঙক্তির পরে পাণ্ডুলিপিতে প্রাপ্ত রচনাংশ
তোমার প্রথম জন্মদিন এনেছে মর্তের ঘাটে যে-প্ৰাণ নবীন, চিরন্তন মানবের মহাসত্তা-মাঝে এল কোন কাজে ? এক আমি-কেন্দ্র ঘিরে
ফিরে ফিরে মুহুর্তের দল অগণন । সৃষ্টির নিগুঢ় শক্তি করিয়া বহন দিনরাতি কী গাথনি তুলিতেছে গাথি আলোয় ছায়ায়, বিচিত্র বেদনাঘাতে ঝংকৃত কায়ায়, রূপে রসে বর্ণে নৃত্যে গন্ধে গানে বেষ্টিত মায়ায় ।
“অপূর্ণ কবিতার বর্জিত প্ৰথম অনুচ্ছেদ । দ্রষ্টব্য ; প্রবাসী, পৌষ ১৩৩৮—“জন্মদিন ।
শুধু প্রাণরক্ষা আর বংশরক্ষা কাজে তোমার চিত্তের শক্তি সাঙ্গ হয় নাই আত্ম-মাঝে, या ब्रदिब्न बांकि ধূলি তারে ফাকি দিবে নাকি । সে চিত্ত অসীম-পানে বাতায়ন দিল খুলি, প্রত্যহের আপনারে ভুলি
নিত্যের নৈবেদ্যাথলে আপনার শ্রেষ্ঠ দান ভরি দিয়াছিল কালে কালে ।
অসীম প্ৰাণের বার্তা যবে এসেছিল কানে
মরপ্ৰাণ তুচ্ছ করেছিলে আত্মদানে, অর্থ তার কোথাও কি হবে না। সমাধা, মৃত্যু তারে দিবে বাধা,
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
