পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A Str ब्रोका-ब्रष्नांदी বটে। কিন্তু কোন রিয়াল মানুষ প্রত্যহ আমাদের কাছে যে রকম প্রতীয়মান সেরকম ভাবে কাব্যে স্থান পাবার যোগ্য নয়। কারণ রিয়াল মানুষকে যথার্থ ও সম্পূর্ণরূপে জানিবার শক্তি আমাদের না থাকাতে। আমরা তাকে প্রতিদিন খণ্ডিত বিক্ষিপ্ত এবং অনেক সময় পূর্বাপরবিরোধী ভাবে না দেখে উপায়পাইনে- কাজেই তাকে নিয়ে কাব্যে কাজ চলে না । সুতরাং কাব্যে যদিচ কোন কোন রিয়াল লোকের আভাসমােত্র থাকে। তবু তাকে সম্পূর্ণ করতে অন্তর বাহির নানা দিক থেকে নানা উপকরণ আহরণ করতে হয় । চন্দ্ৰীমাধবে মেজদাদার শিশুবৎ স্বচ্ছা-সারল্যের ছায়া আছে এবং নিৰ্ম্মলায় সরলার কল্পনাপ্রবণ উদ্দীপ্ত কর্মোৎসাহ আছে- কিন্তু উভয় চরিত্রেই অনেক জিনিস আছে যা তাদের কারোই নয় । [আশ্বিন ১৩০৭] -চিঠিপত্র ৮ । পৃ. ১৩৫-৩৬ কাল চিরকুমারসভা শেষ করিয়া ফেলিয়া হাড়ে বাতাস লাগাইতেছি।-- ১১ই চৈত্র ১৩০৭ । سرما د ر ا را گi Sf8 চিরকুমার সভার শেষ দিকটায় একেবারে full steam লাগানো গিয়েছিল-- যেমন করে হােক শেষ করে দিয়ে অঞ্চণী হবার জন্যে মনটা নিতান্তই ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল । তার পরে যখন তোমার কাছে শুনলুম শেষ দিকটা ক্রমেই ঢ়িলে হয়ে আসচে— তখন কলমের পশ্চাতে খুব একটা কড়া চাবুক লাগিয়ে একদমে শেষ করে দেওয়া গেছে। সকল সময়ে কি মেজাজ ঠিক থাকে ? চৈত্রের কুমারসভা সম্বন্ধে তুমি যা লিখোঁচ সেটা ঠিক । তোমার পরামর্শমতে ভবিষ্যতে ওটা পরিবর্তন করে দেবার চেষ্টা করব । বৈশাখে কুমারসভার উপসংহারটা পড়ে তোমাদের কি রকম লাগে জানিবার খুব কৌতুহল আছে । যথেষ্ট আশঙ্কাও আছে । নিতান্ত অনিচ্ছা এবং নিরুদ্যমের মধ্যে কেবল মাত্ৰ প্ৰতিজ্ঞার জোরে ওটা শেষ করেছি-- মনের সে অবস্থায় কখনো রসনিঃসারণ হয় না । যেখানে থামা উচিত এবং যেরকম ভাবে থামা উচিত তা হয়েচে কি না নিজে বুঝতে পারাচি নে । একবার সমস্ত জিনিসটা একসঙ্গে ধরে দেখতে পারলে তবে ওর পরিমাণ সামঞ্জস্য বিচার করা যায়— সেইজন্যে বৈশাখের ভারতীর অপেক্ষায় আছি । যখন বই বেরবে তখন অনেকটা বদল হয়ে বেরবে । [ ? চৈত্র, ১৩০৭ ] -छेि०द्ध b । * S१७ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় রবীন্দ্রনাথকে চিরকুমার-সভা ইংরেজি করার বিষয় লিখিলে, রবীন্দ্রনাথ তদুত্তরে তঁহাকে লেখেন আমার মনে হয় চিরকুমার-সভার ইংরেজি করা অসম্ভব । তার ব্যঙ্গ, তার শ্লেষ, তার সামাজিক ভূমিকা অত্যন্ত বেশি বাঙালি। বাংলাদেশে শ্যালী-ভগ্নীপতির সম্বন্ধ অনন্যসাধারণ, এমন-কি ভারতের অন্যত্রও নেই। অন্য প্রদেশের পাঠক এই ব্যাপারকে আপত্তিজনক বলে মনে করতে পারে ।--হয়তো এ সম্বন্ধে একটু ভূমিকা করে দিলে জিনিসটা কৌতুকাবহ হতেও পারে। আমাদের দেশের একজন সাহিত্য-অধ্যাপক প্রমাণ করে দিয়েছেন আমার লেখায় যথার্থ হাস্যরস নেই, দৃষ্টান্তস্থলে চিরকুমার-সভারও উল্লেখ করেছেন। তার মতে গীতিকাব্যলেখকদের কলম হাসতে ও হাসাতে পারে না । অতএব, সাবধান হবেন । ইতি ১০ অক্টোবর ১৯৩৫ -ekti i via Sosur গল্পগুচ্ছ মজুমদার এজেন্সি হইতে গ্রন্থাকারে দুই খণ্ডে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডের প্ৰকাশকাল ১ আশ্বিন ১৩০৭ ; দ্বিতীয় খণ্ড, “গল্প নামে, প্ৰকাশিত হয় ১৯০১ খৃস্টাব্দে । বর্তমান খণ্ড রচনাবলীতে প্ৰকাশিত ‘গিরি গল্পটি অন্যান্য কয়েকটি গল্পের সহিত প্ৰথম গল্পগুচ্ছে