পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংযোজন দিগন্তে যার স্বর্ণ লিখন, সংগীতের আহবান, নিরর্থকের গহবরে তার হঠাৎ অবসান ? নানা ঋতুর ভাক পড়ে যেই মাটির গহন তলে চৈত্রতাপে, মাঘের হিমে, শ্রাবণ বৃষ্টিজলে, স্বপ্ন দেখে বীজ সেখানে - অভাবিতের গভীর টানে, • অন্ধকারে এই যে ধেয়ান স্বপ্নে কি তার শেষ ? উষার আলোয় ফুলের প্রকাশ, নাই কি সে উদ্দেশ ? ১৫ নবেম্বর, ১৯৩৪ পয়ত্রিশ-সংখ্যক কবিতা তুলনীয় । আমি এই যে সবার সামান্য পথ, পায়ে হঁাটার গলি সে পথ দিয়ে আমি চলি সুখে দুঃখে লাভ ক্ষতিতে, রাতের আঁধার নির জ্যোতিতে । প্রতি তুচ্ছ মুহূর্তেরই বর্জনা করি আমি জড়ো, কারো চেয়ে নইকো আমি বড়ো । চলতে পথে কখনো বা বিধছে কাটা পায়ে, লাগছে ধুলো গায়ে দুর্বাসনার এলোমেলো হাওয়া, তারি মধ্যে কতই চাওয়া পাওয়া, কতই বা হারানো, খেয়া ধরে ঘাটে আঘাটায় নদী পারানে । এমনি করে দিন কেটেছে, হবে সে-দিন সারা বেয়ে সর্বসাধারণের ধারা । >>"