পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉ぬbr রবীন্দ্র-রচনাবলী তোমার ডম্বকতালে, পূজা-নৃত্য করি দেয় সারা স্বর্ষের মন্দির-সিংহদ্বারে, চলে যায় লক্ষ্যহার গৃহশূন্ত পান্থ উদাসীন। - নটরাজ, আমি তব কবিশিষ্য, নাটের অঙ্গনে তব মুক্তিমন্ত্র লব । তোমার তাণ্ডবতালে কর্মের বন্ধনগ্রন্থিগুলি ছন্দবেগে স্পন্দমান পাকে পাকে সদ্য যাবে খুলি ; সর্ব অমঙ্গল-সৰ্প হীনদৰ্প অবনম্র ফণা আন্দোলিবে শাস্ত লয়ে । প্রভু, এই আমার বন্দনা নৃত্যগানে অৰ্পিব চরণতলে, তুমি মোর গুরু, আজিকে আনন্দে ভয়ে বক্ষ মোর করে দুরু দুরু । পূর্ণচন্দ্রে লিপি তব, হে পুর্ণ, পাঠালে নিমন্ত্রণে বসন্তদোলের নৃত্যে, দক্ষিণবায়ুর আলি জন, মল্পিকার গন্ধোন্সাসে, কিংশুকের দীপ্ত রক্তাংশুকে, বকুলের মত্ততায়, অশোকের দোদুল কৌতুকে, বেণুবনবীথিকার নিরস্তর মর্মরে কম্পনে ইঙ্গিতে ভঙ্গিতে, আম্রমঞ্জরীর সর্বত্যাগপণে, পলাশের গরিমায়। অবসাদে যেন অন্তমনে তাল ভঙ্গ নাহি করি, তব নামে আমার আহবান জড়ের স্তব্ধতা ভেদি উৎসারিত করে দিক গান। আমার আহবান যেন অভ্রভেদী তব জটা হতে উত্তারি আনিতে পারে নির্বরিত রসমুধাম্রোতে ধরিত্রীর তপ্ত বক্ষে নৃত্যচ্ছন্দ মন্দাকিনীধারা, ভস্ম যেন অগ্নি হয়, প্রাণ যেন পায় প্রাণহারা।