পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b”ーミ* नछेद्रांछ ২১৭ গেল খুলি গেল মেঘের ছায়ার দ্বার, দিকে দিকে ঘোচে কালো আবরণভার, তরুণ আলোক মুকুট পরেছে তার, বিজয়শঙ্খ বেজে ওঠে তাই ত্ৰিলোকে । শরৎ এনেছে অপরূপ রূপকথা নিত্যকালের বালকবীরের মানসে । নবীন রক্তে জাগায় চঞ্চলতা, বলে,—চলে চলো, অশ্ব তোমার আনো'সে । ধেয়ে যেতে হবে দুস্তর প্রাস্তরে, বন্দিনী কোন রাজকন্যার তরে, মায়াজাল ভেদি চলে সে রুদ্ধ ঘরে, লও কামুক, দানবের বুক হানো সে । ওরে শারদার জয়মন্ত্রের গুণে বীর-গৌরবে পার হতে হবে সাগরে । ইন্দ্রের শর ভরি নিতে হবে তুণে রাক্ষসপুর জিনে নিতে হবে, জাগো রে । “দেবী শারদার যে প্রসাদ শিরে লয়ি’ দেব সেনাপতি কুমার দৈত্যজয়ী, সে প্রসাদ খানি দাও গো অমৃতময়ী’, এই মহা বর চরণে র্তাহার মাগো রে । আজি আশ্বিনে স্বচ্ছ বিমল প্রাতে শুভের পায়ে অম্লান মনে নমো রে । স্বগের রাখি বাধে দক্ষিণ হাতে আঁধারের সাথে আলোকের মহাসমরে । মেঘবিমুক্ত শরতের নীলাকাশ ভুবনে ভুবনে ঘোষিল এ আশ্বাস – হবে বিলুপ্ত মলিনের নাগপাশ, জয়ী হবে সুবি, মরিবে মরিবে তম রে ।