পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

今t歌@成 રૂહ ૧ মাথায় হাত দিয়া দেখি অত্যন্ত উষ্ণ ; উত্তপ্ত নিশ্বাস পড়িতেছে ; কপালের শির দপ জপ করিতেছে । प्रा বুঝিতে পারিলাম, বালিকা আসন্ন রোগের তাপে কাতর হইয়া পিপাসিত হৃদয়ে একবার পিতার স্নেহ পিতারু আদর লইতে গিয়াছিল, পিতা তখন জাহিরপ্রকাশের জন্ত খুব একটা কড়া জবাব কল্পনা করিতেছিল। يجة পাশে আসিয়া বসিলাম । বালিকা কোনো কথা না বলিয়া তাহার দুই জরতপ্ত করতলের মধ্যে আমার হস্ত টানিয়া লইয়া তাহার উপরে কপোল রাখিয়া চুপ করিয়া छहेब्रा ब्रश्णि । জাহিরগ্রাম এবং আহিরগ্রামের যত কাগজ ছিল সমস্ত পুড়াইয়া ফেলিলাম। কোনো জবাব লেখা হইল না । হার মানিয়া এতমুখ কখনো হয় নাই । বালিকার যখন মাতা মরিয়াছিল তখন তাহাকে কোলে টানিয়া লইয়াছিলাম, আজ তাহার বিমাতার অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপন করিয়া আবার তাহাকে বুকে তুলিয়া লইয় ঘরে চলিয়া গেলাম । বৈশাখ, ১৩০ • মধ্যবতিনী প্রথম পরিচ্ছেদ নিবারণের সংসার নিতান্তই সচরাচর রকমের, তাহাতে কাব্যরসের কোনো নামগন্ধ ছিল না । জীবনে উক্ত রসের যে কোনো আবশ্বক আছে, এমন কথা তাহার মনে কখনো উদয় হয় নাই। যেমন পরিচিত পুরাতন চট-জোড়াটার মধ্যে পা দুটো দিব্য নিশ্চিন্তভাবে প্রবেশ করে, এই পুরাতন পৃথিবীটার মধ্যে নিবারণ সেইরূপ আপনার চিরাভ্যন্ত স্থানটি অধিকার করিয়া থাকে, সে সম্বন্ধে ভ্ৰমেও কোনোরূপ চিন্তা তর্ক বা তত্ত্বালোচনা করে না । নিবারণ প্রাতঃকালে উঠিয়া গলির ধারে গৃহদ্বারে খোলাগায়ে বসিয়া অত্যন্ত নিকুৰিয়ভাবে ই কাটি লইয়া তামাক খাইতে থাকে। পৰ দিয়া লোকজন যাতায়াত করে, গাড়ি ঘোড় চলে, বৈঞ্চব-ভিখারি গান গাছে, পুরাতন বোতল সংগ্রহকারী হাকিয়া চলিয়া যায় ; এই সমস্ত চঞ্চল দৃপ্ত মনকে লঘুভাবে ব্যাপৃত রাখে এবং যেদিন oso\ سے سوا ہ"