পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ ২৬৭ পঞ্চম পরিচ্ছেদ এক-একজন লোক স্বপ্লাবস্থায় নির্ভীকভাবে অত্যন্ত সংকটের পথ দিয়া চলিয়া ধায় মুহূর্তমাত্র চিন্তা করে না। অনেক জাগ্রত মানুষেরও তেমনি চিরস্বপ্রাবস্থা উপস্থিত হয়, কিছুমাত্র জ্ঞান থাকে না, বিপদের সংকীর্ণ পথ দিয়া নিশ্চিন্তমনে অগ্রসর হইতে থাকে, অবশেষে নিদারুণ সর্বনাশের মধ্যে গিয়া জাগ্রত হইয়া উঠে । আমাদের ম্যাক্ৰমোরান কোম্পানির হেডবাবুটিরও সেই দশা। শৈলবালা তাহার জীবনের মাঝখানে একটা প্রবল আবর্তের মতে ঘুরিতে লাগিল এবং বহুদূর হইতে বিবিধ মহার্ঘ্য পদার্থ আকৃষ্ট হইয় তাহার মধ্যে বিলুপ্ত হইতে লাগিল। কেবল যে নিবারণের মকুন্যত্ব এবং মাসিক বেতন, হুরসুন্দরীর মুখসৌভাগ্য এবং বসনভূষণ, তাহ নহে, সঙ্গে সঙ্গে ম্যাক্মোয়ান কোম্পানির ক্যাশ তহবিলেও গোপনে টান পড়িল । তাহার মধ্য হইতেও দুটা-একটা করিয়া তোড়া অদৃগু হইতে লাগিল। নিবারণ স্থির করিত আগামী মাসের বেতন হইতে আস্তে আস্তে শোধ করিয়া রাখিব । কিন্তু আগামী মাসের বেতনটি হাতে আসিবামাত্র সেই আবর্ত হইতে টান পড়ে এবং শেষ দু-আনিটি পর্যন্ত চকিতের মতে চিকমিক করিয়া বিদ্যুৎবেগে অন্তৰ্হিত হয় ; শেষে একদিন ধরা পড়িল । পুরুষানুক্রমের চাকুরি । সাহেব বড়ো ভালোবাসে, তহবিল পূরণ করিয়া দিবার জন্য দুইদিনমাত্র সময় দিল । কেমন করিয়া সে ক্রমে ক্রমে আড়াই হাজার টাকার তহবিল ভাঙিয়াছে ভাহ নিবারণ নিজেই বুঝিতে পারিল না । একেবারে পাগলের মতে হইয়া হরমুন্দরীর কাছে গেল, বলিল, “সর্বনাশ হইয়াছে।” হরসুন্দরী সমস্ত গুনিয়া একেবারে পাংশুবর্ণ হইয়া গেল । নিবারণ কহিল, “শীঘ্ৰ গহনাগুলো বাহির করে।” হরমুন্দরী কহিল, “সে তো আমি সমস্ত ছোটেবিউকে দিয়াছি।” নিবারণ নিতান্ত শিশুর মতো অধীর হইয়া বলিতে লাগিল, “কেন দিলে ছোটােবউকে । কেন দিলে। কে তোমাকে দিতে বলিল ।” হরমুন্দরী তাছার প্রকৃত উত্তর না দিয়া কহিল, “তাহাতে ক্ষতি কী হইয়াছে । সে তো আর জলে পড়ে নাই।” ழ் ভীক নিবারণ কাতরস্বরে কছিল, “তবে যদি তুমি কোনো ছুতা করিয়া তাহার কাছ इहेष्ठ यांश्द्रि कब्रिहउँ *ांद्र । किरू श्रांबांद्र मांथां थां७ बलिटब्रां न cय, यांभि कांश्रिउछ्ि কিংবা কী জন্তু চাহিতেছি।”