পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ 있SD কিন্তু সকলেই জানেন, এ প্রকারের অমুখ অধিকক্ষণ স্থায়ী করিয়া রাখা রোগীর পক্ষে বড়োই দুষ্কর। মিনিটখানেক না যাইতে যাইতে দিদিমাকে ধরিয়া পড়িলাম, “দিদিমা, একটা গল্প বলে ।” দুই-চারিবার কোনো উত্তর পাওয়া গেল না । ঘ বলিলেন, “র’স বাছা, খেলাটা আগে শেষ করি ।” আমি কহিলাম, “না, খেলা তুমি কাল শেষ করে, আজ দিদিমাকে গল্প বলতে বলে না ।” মা কাগজ ফেলিয়া দিয়া কহিলেন, “যাও খুড়ি, উহার সঙ্গে এখন কে পরিবে ।” মনে মনে হয়তো ভাবিলেন, আমার তো কাল মাস্টার আসিবে না, আমি কালও খেলিতে পারিব । আমি দিদিমার হাত ধরিয়া টানিয়া লইয়। একেবারে মশারির মধ্যে বিছানার মধ্যে গিয়া উঠিলাম। প্রথমে খানিকট পাশবালিশ জড়াইয়া, পা ছুড়িয়া, নড়িয়াচড়িয়া মনের আনন্দ সংবরণ করিতে গেল—তার পরে বলিলাম, “গল্প বলে ।” তখনও ঝুপ ঝুপ করিয়া বাহিরে বৃষ্টি পড়িতেছিল—দিদিম মৃদুস্বরে আরম্ভ করিলেন –এক যে ছিল রাজা । . . তাহার এক রানী। আঃ, বাচা গেল। মুয়ো এবং দুয়ে রানী শুনিলেই বুকটা কঁপিয়া উঠে—বুঝিতে পারি দুয়ো হতভাগিনীর বিপদের আর বিলম্ব নাই। পূর্ব হইতে মনে বিষম একটা উৎকণ্ঠ চাপিয়া থাকে। যখন শোনা গেল আর কোনো চিস্তার বিষয় নাই, কেবল রাজার পুত্রসস্তান হয় নাই বলিয়া রাজা ব্যাকুল হইয়া আছেন এবং দেবতার নিকট প্রার্থনা করিয়া কঠিন তপস্ত করিবার জন্য বনগমনে উদ্যত হইয়াছেন, তখন ইপি ছাড়িয়া বাচিলাম । পুত্রসস্তান না হইলে যে, দুঃখের কোনো কারণ আছে তাহা আমি বুঝিতাম না ; আমি জানিতাম যদি কিছুর জন্য বনে যাইবার কখনো আবগুক হয় সে কেবল মাস্টারের কাছ হইতে পালাইবার অভিপ্রান্তে । இ. রানী এবং একটি বালিকা কন্যা ঘরে ফেলিয়া রাজা তপস্যা করিতে চলিয়া গেলেন। এক বৎসর দুই বৎসর করিয়া ক্রমে বারো বৎসর হইয়া যায় তবু রাজার আর দেখা নাই । * এদিকে রাজকন্যা ষোড়শী হইয়া উঠিয়াছে। বিবাহের বয়স উত্তীর্ণ হইয়া গেল কিন্তু রাজা ফিরিলেন না । k & মেয়ের মুখের দিকে চায়, আর রানীর মুখে অন্নজল ক্লচে না। "আহা আমার এমন هہنامے بbو