পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外關@液 * * శి38 कृडौम्र नब्रिzव्हष অপূর্ব সমস্তদিন নানা ছুতা করিয়া অন্তঃপুরে মার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেল না । বাহিরে নিমন্ত্রণ ছিল, খাইয়া আসিল । অপূর্বর মতে এমন একজন কৃতবিস্ত গভীর ভাবুক লোক একটি সামান্ত অশিক্ষিতা বালিকার কাছে আপনার লুপ্ত গৌরব উদ্ধার করিবার, আপনার আন্তরিক মাহায্যের পরিপূর্ণ পরিচয়-দিবার জন্ত কেন যে এতটা বেশি উৎকণ্ঠিত হইয় উঠবে তাহা বুঝা কঠিন। একটি পাড়াগায়ের চঞ্চল মেয়ে র্তাহাকে সামান্ত লোক মনে করিলই বা । সে যদি মুহূর্তকালের জন্য র্তাহাকে হাস্তাম্পদ করিয়া তার পর তাহার অস্তিত্ব বিশ্বত হইয়া রাখাল নামক একটি নির্বোধ নিরক্ষর বালকের সহিত খেলা করিবার জন্ত ব্যগ্রতা প্রকাশ করে তাহাতেই বা তাহার ক্ষতি কী । তাহার কাছে প্রমাণ করিবার আবগুক কী যে, তিনি বিশ্বদ্বীপ নামক মালিক পত্রে গ্রন্থ সমালোচনা করিয়া থাকেন, এবং তাহার তোরঙ্গের মধ্যে এসেন্স, জুতা, রুবিনির ক্যাস্ফর, রঙিন চিঠির কাগজ এবং "হারমোনিয়ম শিক্ষা” বহির সঙ্গে একখানি পরিপূর্ণ খাতা নিশীথের গর্ভে ভাবী উষার স্তায় প্রকাশের প্রতীক্ষায় রহিয়াছে। কিন্তু মনকে বুঝানো কঠিন এবং এই পল্লিবাসিনী চঞ্চলা মেয়েটির কাছে শ্ৰীযুক্ত অপূর্বকৃষ্ণ রায় বি. এ কিছুতেই পরাভব স্বীকার করিতে প্রস্তুত নহে। সন্ধ্যার সময়ে অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলে মা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন রে অপু, মেয়ে কেমন দেখলি । পছন্দ হয় তো ?” অপূর্ব কিঞ্চিং অপ্রতিভভাবে কহিল, “মেয়ে দেখেছি মা, ওর মধ্যে একটিকে আমার পছন্দ হয়েছে ।" মা আশ্চর্ষ হইয়া কহিলেন, “তুই আবার কটি মেয়ে দেখলি ?” অবশেষে অনেক ইতস্ততর পর প্রকাশ পাইল প্রতিবেশিনী শরতের মেয়ে মৃন্ময়ীকে তাহার ছেলে পছন্দ করিয়াছে। এত লেখাপড় শিখিয়া এমনি ছেলের পছন্দ । প্রথমে অপূর্বর পক্ষে অনেকটা পরিমাণ লজ ছিল, অবশেষে মা যখন প্রবল আপত্তি করিতে লাগিলেন তখন তাহার লজ্জা ভাঙিয়া গেল। সে রোখের মাথায় বলিয়া বসিল, মুম্ময়ীকে ছাড়া আর কাছাকেও বিবাহ করিব না । অঙ্ক জড়পুত্তলি মেয়েটিকে লে যতই কল্পনা করিতে লাগিল ততই বিবাহ-সম্বন্ধে তাহার বিষম বিতৃষ্ণার উন্ত্ৰেক হইল । দুই-তিনদিন উভয়পক্ষে মান-অভিমান, অনাহার-অনিয়ার পর অপূর্বই জয়ী হইল। মা মনকে বোঝাইলেন যে, মৃন্ময়ী ছেলেমান্থব এবং স্বল্পীর মা উপযুক্ত শিক্ষাদানে مو!(۹8 صسسه شوb«