পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

开审弧 ©›ዓ نیم: পদার্থ আমাদের আছে ; সত্যের পিপাস যদি আমাদের রিপুর চেয়ে প্রবলতর না হুইত তবে আমাদের মধ্যে কেই বা ধর্মের পথে চলিতে পারিত। মানুষের প্রতি এত বড়ো শ্রদ্ধার কথা এত বড়ে আশার কথা সকলে বলিতে পারে না । কামনার আঘাতে মানুষ বারবার স্খলিত হইয়া পড়িতেছে, কেবল ইছাই বড়ে করিয়া তাহার চোখে পড়ে যে ছোটে ; কিন্তু তৎসত্ত্বেও সত্যের আকর্ষণে মানুষ যে পাশবতার দিক হইতে মকুন্তত্বের দিকে অগ্রসর হইতেছে এইটেই বড়ো করিয়া দেখিতে পান তিনিই যিনি বড়ে । এই জন্য তিনিই মানুষকে বারংবার নির্তয়ে ক্ষমা করিতে পারেন, তিনিই মানুষের জন্ত আশা করিতে পারেন, তিনিই মানুষকে সকলের চেয়ে বড়ো কথাটি গুনাইতে আসেন, তিনিই মানুষকে সকলের চেয়ে বড়ো অধিকার দিতে কুষ্ঠিত হন না। তিনি কৃপণের ন্যায় মানুষকে ওজন করিয়া অনুগ্রহ দান করেন না, এবং বলেন না তাহাই তাহার বুদ্ধি ও শক্তির পক্ষে যথেষ্ট,-প্রিয়তম বন্ধুর ন্যায় তিনি আপন চিরজীবনের সর্বোচ্চ সাধনের ধন তাহার নিকট সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সহিত উৎসর্গ করেন, জানেন সে তাহার যোগ্য । সে যে কত বড়ো যোগ্য তাহ সে নিজে তেমন করিয়া জানে না, তিনি যেমন করিয়া জানেন । মানুষ বলে, জানি, আমরা পারি না —মহাপুরুষ বলেন, জানি, তোমরা পার । মাচুব বলে, যাহা সাধ্য এমন একটা ধর্ম খাড়া করে ; মহাপুরুষ বলেন, যাহা ধর্ম তাহ নিশ্চয়ই তোমাদের সাধা । মানুষের সমস্ত শক্তির উপরে তাহারা দাবি করেন—কেননা সমস্ত অশক্তির পরিচয়কে অতিক্রম করিয়াও র্তাহারা নিশ্চয়ই জানেন তাহার শক্তি আছে। অতএব ধর্মেই মানুষের শ্রেষ্ঠ পরিচয় । ধর্ম মামুষের উপরে যে পরিমাণে দাবি করে সেই অনুসারে মানুষ আপনাকে চেনে। কোনো লোক রাজার ছেলে হইয়াও হয়তে আপনাকে ভুলিয়া থাকিতে পারে তবুও দেশের লোকের দিক হইতে একটা তাগিদ। থাকা চাই। তাহার পৈতৃক গৌরব তাহাকে স্মরণ করাইতেই হইবে, তাহাকে লঙ্গ দিতে হইবে, এমন কি, তাহাকে দণ্ড দেওয়া আবণ্ডক হইতে পারে। কিন্তু তাহাকে চাষ। বলিয়া মিথ্যা ভুলইয়া সমস্তাকে দিব্য সহজ করিয়া দিলে চলিবে না ; সে চাষার মতে প্রত্যহ ব্যবহার করিলেও সত্য তাহার সম্মুখে স্থির রাখিতে হইবে। তেমনি ধর্ম কেবলই মানুষকে বলিতেছে, তুমি অমৃতের পুত্র, ইহাই সত্য; ব্যবহারত মানুষের স্খলন পদে পদে হইতেছে তবু ধর্ম তাহার সত্য পরিচয়কে উচ্চে ধরিয়া রাখিতেছে ; মানুষ বলিতে ষে কতখানি বুঝায় ধর্ম তাছা কোনোমতেই মানুষকে জুলিতে দিবে না ; ইহাই তাহার সর্বপ্রধান কাজ । • ব্যাধি মানুষের শরীরের স্বভাৰ নহে তৰু ব্যাধি মানুষকে ধরে। কিন্তু তখন