罚 পরিচয় ৫১৩ জগতে রূপের মধ্যে আমরা কেবল সীমা নয় সংযম দেখি। সীমাট অন্ত সকলের সঙ্গে নিজেকে তফাত করিয়া, আর সংযমটা অন্ত সমস্তের সঙ্গে রফা করিয়া। রূপ একদিকে আপনাকে মানিতেছে, আর একদিকে অন্ত সমস্তকে মানিতেছে তবেই সে টিকিতেছে । " 轉 * তাই উপনিষৎ বলিয়াছেন, স্বৰ্ষ ও চন্দ্র, দু্যলোক ও ভূলোক, একের শাসনে বিধৃত । সূর্ব ও চন্দ্র দু্যলোক ভূলোক আপন-আপন সীমায় খণ্ডিত ও বহু-কিন্তু তবু তার মধ্যে কোথায় এককে দেখিতেছি ? যেখানে প্রত্যেকে আপন-অাপন ওজন রাধিয়া চলিতেছে ; যেখানে প্রত্যেকে সংযমের শাসনে নিয়ন্ত্রিত । " ", ভেদের দ্বারা বহুর জন্ম কিন্তু মিলের দ্বারা বছর রক্ষা । যেখানে অনেককে টিকিতে হইবে সেখানে প্রত্যেককে আপন পরিমাণটি রাখিয়া আপন ওজন বঁাচাইয়। চলিতে হয় । জগং স্বষ্টিতে সমস্ত রূপের মধ্যে অর্থাৎ সীমার মধ্যে পরিমাণের যে সংযম সেই সংষমই মঙ্গল সেই সংষমই সুন্দর । শিব যে যতী । আমরা যখন সৈন্যদলকে চলিতে দেখি তখন একদিকে দেখি প্রত্যেকে আপন সীমার দ্বারা স্বতন্ত্র আর একদিকে দেখি প্রত্যেকে একটি নির্দিষ্ট মাপ রাখিয়া ওজন রাখিয়া চলিতেছে । সেইখানেই সেই পরিমাণের সুষমার ভিতর দিয়া জানি ইহাদের ভেদের মধ্যেও একটি এক প্রকাশ পাইতেছে। সেই এক যতই পরিস্ফুট এই সৈন্যদল ততই সত্য । বহু যখন এলোমেলো হইয়া ভিড় করিয়া পরস্পরকে ঠেলাঠেলি ও অবশেষে পরস্পরকে পায়ের তলায় দলাদলি করিয়া চলে তখন বহুকেই দেখি, এককে দেখিতে পাই না, অর্থাৎ তখন সীমাকেই দেখি ভূমাকে দেখি না—অথচ এই ভূমার রূপই কল্যাণরূপ, আনন্দরূপ । নিছক বহু কি জ্ঞানে কি প্রেমে কি কর্মে মানুষকে ক্লেশ দেয়, ক্লান্ত করে,—এই জন্য মাস্থ্য আপনার সমস্ত জানায় চাওয়ায় পাওয়ায় করায় বছর ভিতরকার এককে খুজিতেছে - নহিলে তার মন মানে না, তার সুখ থাকে না, তার প্রাণ বঁাচে না । মানুষ তার বিজ্ঞানে বছর মধ্যে যখন এককে পায় তখন নিয়মকে পায়, দর্শনে বহুর মধ্যে যখন এককে পায় তখন তত্ত্বকে পায়, সাহিত্যে শিল্পে বছর মধ্যে যখন এককে পায় তখন সৌন্দর্যকে পায়, সমাজে বছর মধ্যে যখন এককে পায় তখন কল্যাণকে পায়। এমনি করিয়া মানুষ বহুকে লইয়া তপস্তা করিতেছে এককে পাইবার জন্ত । এই গেল আমার ভূমিকা।, তার পরে, আমাদের শিল্প-শাস্ত্র চিত্রকলা সম্বন্ধে কী বলিতেছে বুঝিয়া দেখা যাক । O t সেই শাস্ত্রে বলে, ছবির ছয় অঙ্গ। রূপভেদ, প্রমাণ, ভাব, লাবণ্য, সাদৃশু ও বণিকাভঙ্গ । , o, * هوه حسسه مbه
