পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{} গ্রন্থপরিচয় [ রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে মুদ্রিত গ্রন্থগুলির প্রথম প্রকাশের তারিখ ७ Gुসংক্রাস্ত অম্লান্য জ্ঞাতব্য তথ্য গ্রন্থপরিচয়ে সংকলিত হইল। এই খণ্ডে মুদ্রিত কোনো কোনো রচনা সম্বন্ধে কবির নিজের মন্তব্যও মুদ্রিত হইল। পূর্ণতর তথ্যসংগ্রহ সর্বশেষ খণ্ডে একটি পঞ্জীতে সংকলিত হইবে। ] শেষ সপ্তক শেষ সপ্তক ১৩৪২ সালের ২৫ বৈশাখ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। । শেষ সপ্তকের ১৫ সংখ্যক কবিতাবলীর সহিত পথে ও পথের প্রাস্তে अश् প্রকাশিত শ্ৰীমতী রানী মহলানবিশকে লিখিত ২৬ ও ২৭ সংখ্যক পত্র তুলনীয় ; এই কবিতাগুলিকে ঐ চিঠি দুটিরই কাব্যরূপ বলা যাইতে পারে। পথে ও পথের প্রাস্তে, ২৬ । তুলনীয় শেষ সপ্তক ১৫১ আমি আবার ঘর বদল করেছি। এই উদয়নের বাড়িতেই। বাড়িটার নাম উদয়ন, সেকথা জানিয়ে দেওয়া ভালো । উত্তরের দিকে দুটি ছোটো ঘর। এই রকম ছোটো ঘর আমি ভালোবাসি, তার কারণ তোমাকে বলি। ঘরটাই যদি বড়ো হয় তবে বাহিরটা থেকে দূরে পড়া যায়। বস্তুত বড়ো ঘরেই মানুষকে বেশি আবদ্ধ করে। তার মধ্যেই তার মনটা আসন ছড়িয়ে বসে, বাহিরটা বড্ড বেশি বাইরে সরে দাড়ায়। এই ছোটো ঘরে ঠিক আমার বাসের পক্ষে যতটুকু দরকার তার বেশি কিছুই নেই। সেখানে খাট আছে টেবিল আছে চৌকি আছে ; সেই আসবাবের সঙ্গে একখণ্ড আকাশকে জড়িত ক’রে রেখে আকাশের শখ ঘরেই মেটাতে চাইনে। আকাশকে পেতে চাই তার স্বস্থানে বাইরে ; পূর্ণভাবে বিশুদ্ধভাবে । দেয়ালের ভিতরে যে আকাশকে বেঁধে রাখা হয় তাকে আমি ছেড়ে দেবামাত্রই সে আমার যথার্থ কাছে এসে দাড়ায়। একেবারেই আমার বসবার চৌকির অনতিদূরে, আমার জানলার গা ঘেঁষে। তার কাজ হচ্ছে মনকে ছুটি দেওয়া ; সে যদি নিজে যথেষ্ট ছুটি না পায়, মনকে ছুটি দিতে পারে না। এইবার আমার ঘরে-আকাশে যথার্থ মিল হয়েছে—বেশ লাগছে। চেয়ে দেখি যতদূর -দেখা স্থায়, আবার পরক্ষণেই আমার ভেস্কের মধ্যে চোখ ফিরিয়ে আনতে দেরি হয় না। জানলার কাছে বলে বসে প্রায়ই ভাবি, দুর বলে একটা পদার্থ আছে, সে বড়ো সুন্দর । বস্তুত সুন্দরের মধ্যে একটি দূরত্ব আছে, নিকট তার স্কুল হস্ত