পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক কলপ-লাগানো চুল বাবরি-কর, মিশকালো রং, চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসছে, . শিথিল হয়েছে মাংস, হাতের পায়ের হাড়গুলো দীর্ঘ, কণ্ঠস্বর সরু-মোটায় ভাঙা । রোমাঞ্চ লাগবার মতো তার পূর্ব-ইতিহাস । বসেছে আমাদের মাঝখানে, বলছে রোবো ডাকাতের কথা । আমরা সবাই গল্প অঁাকড়ে বসে আছি । দক্ষিণের হাওয়া-লাগা ঝাউড়ালের মতো দুলছে মনের ভিতরটা । খোলা জানলার সামনে দেখা ধায় গলি, একটা হলদে গ্যাসের আলোর খুঁটি দাড়িয়ে আছে একচোখে ভূতের মতো । পথের লা ধারটাতে জমেছে ছায়া । গলির মোড়ে সদর রাস্তায় বেলফুলের মালা হেঁকে গেল মালী । পাশের বাড়ি থেকে কুকুর ভেকে উঠল অকারণে । নটার ঘণ্টা বাজল দেউড়িতে । অবাক হয়ে শুনছি রোষোর চরিতকথা । তত্ত্বরত্বের ছেলের পৈতে, রোধে বলে পাঠাল চরের মুখে, “নমো নমো করে সারলে চলবে না ঠাকুর, ভেবো না খরচের কথা ।” মোড়লের কাছে পত্র দেয় পাচ হাজার টাকা দাবি করে ব্রাহ্মণের জন্তে । وه و)