পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ8 στ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী হে যশস্বী আজ আমাদের সেই সাধনার ক্ষেত্র তোমার প্রসন্ন আগমনের দ্বারা সার্থক হল, তোমাকে আমি অভিবাদন করি। আনন্দবাজার পত্রিকা २० अ5शशों ७७० • পোরে দেবীেদ হে পারস্য সভ্যতার বার্তাবহ, আমরা আপনাকে শান্তিনিকেতন তথা ভারতের পক্ষ হইতে অভিনন্দিত করি। ভারতবর্ষ শিল্পকলা, সাহিত্য, দর্শনের ভিতর দিয়া আপনাদের সহিত মৈন্ত্রীবন্ধনে আবদ্ধ। ভাষা ও ব্যবধানের দূরত্ব সত্ত্বেও এশিয়ার আত্মপ্রকাশের দিন আপনাদের সহিত একসূত্রে ভারত তাহার চিন্তাধারা ও আত্মানুভূতির সামঞ্জস্য রাখিয়া চলিয়াছিল। বহু শতাব্দীর বিস্মৃতির অতল গর্ভে ডুবিয়া গিয়া ভারত ও ইরানের বন্ধুত্ব লোপ পাইতে বসিয়াছিল, কিন্তু এশিয়ার এই নবজাগরণে আমাদের সেই পূর্বসম্বন্ধ ফিরিয়া আসিয়াছে। আপনি এশিয়ার জাগরণের বার্তা বহন করিয়া আনিয়াছেন। বহুদিন পূর্বে যে সত্যের আলো ইরান ও ভারত জুলিয়াছিল, তাহা আবার আমাদিগকে প্রজুলিত করিতে হইবে। কিছু পূর্বে আমরা যে স্তোত্রটি পাঠ করিয়াছিলাম উহ্য ওই ভাবেরই দ্যোতক। আমাদের অস্তর আবার একীভূত হইবে এবং আত্মজ্ঞানের সন্ধানে এশিয়ার আকাশ বাতাসকে আলোড়িত করবে। আমরা এশিয়াবাসিগণ আপনার দেশের শ্রেষ্ঠ নরপতির নিকট কৃতজ্ঞ; কারণ র্তাহার বিরাট ব্যক্তিত্ব ও বহুদূরপ্রসারী কল্পনার প্রভাবে এশিয়াতে নবযুগের প্রবর্তন করিয়া নিকটবতী দেশসমূহে আত্মবিশ্বাস ও আশার আলো জুলিয়া দিয়াছেন, আজিকার এই শুভ মুহূর্তে র্তাহার মহানুভবতাকে স্মরণ করিয়া আমরা তঁহাকে আমাদের অস্তরের অনাবিল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করিতেছি। আমাদের এই অস্তরের শ্রদ্ধা ও প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করিবার জন্য আপনার ন্যায় শ্রেষ্ঠ মনীষীর আগমন আমাদের প্রাণকে সজীব করিয়া তুলিয়াছে। এশিয়ার লুপ্ত গৌরব প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য আমরা এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করিয়াছি। ইরান গর্বানুভব করিতেছি। আনন্দবাজার পত্রিকা ২৮ পৌষ ১৩৩৯ • যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত স্বদেশের মঙ্গলের জন্য যে-সমস্ত সাহসী যোদ্ধা সংগ্রাম করিয়া গিয়াছেন, যতীন্দ্রমোহন তাহাদের অন্যতম। মাতৃভূমির উন্নতি সাধনের জন্য কোনো প্রকার ত্যাগ স্বীকারেই তিনি কুষ্ঠিত ছিলেন না। তিনি তাহার লাভজনক আইন ব্যাবসা পরিত্যাগ করেন এবং স্বয়ং আন্দোলনের আবর্তে ঝাপাইয়া পড়িয়া সমগ্র পরিবারের সহিত অপরিসীম দুঃখের জীবন বরণ করিয়া লন। আচরণে মহৎ এবং সৌজন্যে সর্বজয়ী যতীন্দ্রমোহন সমগ্ৰ ভারতের একজন সর্বজনপ্রিয় রাষ্ট্রনৈতিক নেতা ছিলেন, ভারতের জাতীয় জীবনের এই সংকট মুহূর্তে এরূপ একজন নেতাকে হারাইয়া দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হইল। দীর্ঘকাল রাজনৈতিক বন্দীরূপে আবদ্ধ থাকার জন্যই যে তাহার মৃত্যু এত ত্বরান্বিত এবং এত অসময়ে সংঘটিত হইল, তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই। তিনি রুচিসম্পন্ন এবং