পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ রবীন্দ্র-রচনাবলী ১৪ ব্রজেন্দ্রনাথ শীল আচার্য শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, সুহৃদরে জ্ঞানের দুর্গম উর্ধে উঠেছ সমুচ্চ মহিমায়, যাত্ৰী তুমি, যেথা প্রসারিত তব দৃষ্টির সীমায়। সাধনাশিখরশ্ৰেণী; যেথায় গহন গুহা হতে সমুদ্রবাহিনী বার্তা চলেছে প্রস্তরভেদী শ্লোতে নব নব তীর্থ সৃষ্টি করি, যেথা মায়া-কুহেলিকা। ভেদি উঠে মুক্তদৃষ্টি তুসমৃঙ্গ, পড়ে তাহা লিখা। প্ৰভাতের তমোজয়,লিপি; যেথায় নক্ষত্রলোকে দেখা দেয় মহাকাল আবর্তিয়া আলোকে আলোকে বহুিমণ্ডলের জপমালা; যেথায় উদয়াচলে আদিত্যবরণ যিনি, মর্ত্যধরণীর দিগঞ্চলে অনাবৃত করি দেন তামৰ্ত্য-রাজ্যের জাগরণ, তপস্বীর কণ্ঠে কণ্ঠে উচ্ছসিয়া -— শুন বিশ্বজম, শুন তামৃতের পুত্র, হেরিলাম মোহান্ত পুরুষ। মিক্সের পার হতে তেজোময়, যেথায় মানুষ। শুনে দৈববাণী। সহসা পায় সে দৃষ্টি দীপ্তিমান, দিকসীমাপ্রান্তে পায় অসীমের নূতন সন্ধান। বরেণ্য অতিথি তুমি বিশ্বমানবের তপোবনে, সত্যদ্ৰষ্টাযেথা যুগ-যুগান্তরে ধ্যানের গগনে গৃঢ় হতে উদারিত জ্যোতিষ্কের সম্মিলন ঘটে, যেথায় অঙ্কিত হয় বর্ণে বর্ণে কল্পনার পটে নিত্যসন্দরের আমন্ত্রণ। সেথাকার শুভ্র আলো বরমালারূপে তব সমুদার ললাটে জড়ালো। বাণীর দক্ষিণ পাণি। মোরে তুমি জানো বন্ধু বলি, আমি কবি আনিলাম ভরি মোর ছন্দের তাঞ্জলি। স্বদেশের আশীর্বাদ, বিদায়কালের অধ্য মোর বাহুতে বাধিনু তব সপ্ৰেম শ্ৰদ্ধার রাখিডোর। ১ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ আনন্দবাজার পত্রিকা। ৪ পোষ ১৩৪২ প্রবাসী। মাঘ ১৩৪২