পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতা ১৫ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা ধেয়ানে তোমার মিলিত হয়েছে তারা। তোমার জীবনে অসীমের লীলাপথে । মতন তীর্থ রূপ নিল এ-জগতে; দেশ-বিদেশের প্রণাম আনিল টানি সেথায় আমার প্রণতি দিলাম আনি । প্ৰবাসা ফামুন ১৩৪. ১৬ • বিধুশেখর ভট্টাচার্য। মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত শ্রীযুক্ত বিধুশেখর ভট্টাচার্য সুহৃদবরেম্ব বিদ্যার তপম্বা তুাম। আজ তুমি বশম্বী ভারতে; কবি তব জয়মাল্য দপি দিল তব জয়রথে। এই আশীৰ্বাদ করি :– তব যাত্রা হোক অগ্রসর অপূর্ব কীর্তির পথে উক্তরিয়া দেশদেশান্তর দূর হতে দূরে। একদিন যবে অখ্যাত নিভৃতে শুদ্ধ ছিলে, অস্তলীন আনন্দের তাদৃশ্য রশ্মিতে সিদ্ধি ছিল মহীরসীভারতীর প্রসাদটিতে ছিল তব পুরস্কৃতি, ছিল না তা লোকের দৃষ্টিতে। জ্ঞানের প্রদীপ তব দীপ্ত ছিল ধ্যানের আড়ালে। নিষ্কম্প তালোকে। আভ জনারণ্যে চরণ বাড়ালে, সেথা পরিচয় লাগি নাম মাগে উপাধির সীমা, সেথা মহিমার চোয়ে মানে লোকে চিহ্নের গরিমা। চিহ্ন না রহিতে তবু তোমারে চিনিয়াছিল যারা তাদের সম্মানমাল্য জনতার কাছে মূল্যহারা। যেথা যাহা প্রয়োজন তাই দিন সৌভাগ্যবিধাতা, পদবীর পরিমাপে হয় যদি হোক উচ্চ মাথা। বিশ্বে তুমি দৃশ্য হও ভালে বহি রাজদত্ত টিকা, বন্ধচিত্তে থাকো লয়ে নিলাঙ্কন আত্মালোকশিখা।। বন্ধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শান্তিনিকেতন ১২ মাঘ ১৩৪২ প্রবাসী, ফামুন ১৩৪২