পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>br dô. গ্রন্থপরিচয় Sዓዓ હું কল্যাণীয়েয়ু, শরৎ, রুগ্নদেহ নিয়ে তোমাকে হাসপাতালে আশ্রয় নিতে হয়েছে শুনে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হলুম। তোমার আরোগ্য লাভের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ উৎকণ্ঠিত হয়ে থাকবে। ইতি VGS IS NR (SOA তোমাদের শ্ৰীীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ শরৎচন্দ্রের মৃত্যু হয়। এই সংবাদে রবীন্দ্রনাথ যাহা বলেন, সংবাদপত্র হইতে সেই অংশ উদ্ধৃত হইল— “বাঙালি জীবনের সুখ দুঃখের চিত্র র্যাহার নিবিড় অনুভূতিতে প্ৰাণবন্ত হইয়া উঠিয়াছে, আধুনিক যুগের সেই দরদী সর্বজনপ্রিয় লেখকের মৃত্যুতে দেশবাসীর সহিত আমিও সমবেদনা অনুভব করিতেছি।” দ্র, রবীন্দ্ৰপ্ৰসঙ্গ/আনন্দবাজার পত্রিকা” তৃতীয় २७ (२००७), श्रृं. ७५ | WP হেরম্বচন্দ্র মৈত্ৰেয়-র (১৮৫৭-১৯৩৮) পরলোকগমনে শ্রদ্ধার্ঘ্য। রচনাকাল ২ মাঘ ১৩৪৪। "প্রবাসী’ ও ‘ভারতবর্ষ পত্রিকায় একই সঙ্গে প্রকাশিত (ফায়ুন ১৩৪৪)। “ভারতবর্ষ পত্রিকার পাঠে কবিতাটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছত্রদুটি ছিল না। ১১ মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে শান্তিনিকেতন হইতে লিখিত এক পত্রে রবীন্দ্রনাথ “তোমার বাবার স্মরণার্থ আমি একটি চৌপদী কবিতা পাঠিয়েছিলুম, বােধ করি যথাসময়ে সেটা পেয়েছ। আরো দু লাইন ছিল চৌপদীর সীমা বাঁচাবার জন্যে কেটে দিয়ে দিয়েছিলুম, তবু তোমাকে পাঠিয়ে দিলুম। দৃষ্টি যাবে আঁধারিল ছিল তব আত্মার আলোক, জরা আচ্ছাদন তলে চিত্তে ছিল নিত্য যে বালক।” প্রকাশ, ‘দেশ” ৫ ফায়ুন ১৩৬৭৷৷ ইতিপূর্বে ১৭ জানুয়ারি ১৯৩৮ তারিখে শান্তিনিকেতন হইতে লিখিত পত্রে রবীন্দ্রনাথ মুমুক্ত উত্তর জাত পরে উচ্ছল যে আল্লাস বলে এখন গ্রন্থ “পূর্ণ পরিণত জীবনের প্রায় চরম প্রান্তে মৃত্যু যখন নিশ্চিত অবধারিত, এবং যখন প্রতি মুহূর্তে জীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছিল, তখন মৃত্যুকে যিনি কখনাে ভয় করেন নি, তীর পক্ষে মৃত্যুকে শোকাবহ বলে গণ্য করতে পারি নে। তার সুদীর্ঘজীবনে যাঁরা তীর সঙ্গে সুখদুঃখ মেহপ্রেমের নানা সম্বন্ধে জড়িত, বিচ্ছেদদুঃখ তাদের বেদনা দেবে জানি, কিন্তু যিনি চলে গেছেন তার শান্তি ও নিস্কৃতির দিকে লক্ষ্য করলে এই দুঃখকে তার তুলনায় সামান্য বলেই স্বীকার করতে হবে।” ” প্রকাশ, ‘দেশ” ৫ ফায়ুন ১৩৬৭৷৷ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (১৮৩৮-৯৪) জন্মশতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ১০ আষাঢ় ১৩৪৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় পঠিত। শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত একটি পাণ্ডুলিপিতে (অভিজ্ঞান সংখ্যা ১৫৯) কবিতাটির একটি পূৰ্বরূপ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রকাশিত কবিতা হইতে অনেকাংশে পার্থক্য থাকায় শিরোনামহীন কবিতাটি এখানে সংকলিত হইল