পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় sbr述 ৩৭. • তাই সু। 豆び不F 18 国図 >○8と ७५. • ठूलन्नीलान প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় : “রবীন্দ্রজীবনী' ৪র্থ ১. ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্রের ভ্রাতা কৃষ্ণবিহারী সেন (১৮৪৭-৯৫) মেধাবী ছাত্র ছিলেন, তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বৃত্তি পান ও এম. এ. পরীক্ষায় (১৮৬৯) সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করেন। ছাত্রজীবনে ‘বিধবা বিবাহ’ নাটকে অভিনয় করিয়া তিনি খ্যাতি অর্জন করিয়াছিলেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রভৃতির সহিত তিনি ‘জোড়াসাঁকো নাট্যশালা'র প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য কমিটি অব ফাইভ" -এর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, এখানে তিনি নাট্যশিক্ষকও ছিলেন। ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে তাহার সহিত রবীন্দ্রনাথের একটি অসমবয়সী বন্ধুত্ব গড়িয়া ওঠে। কৃষ্ণবিহারীর ‘অশোকচরিত’ গ্রন্থটির সমালোচনা-প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ সাধনা' পত্রিকায় লেখেন : 'গ্রন্থকার তঁহার অসাধারণ পণ্ডিতের ফল একাধারে সন্নিবিষ্ট করিয়া সাধারণ পাঠকবর্গের মহৎ উপকার করিয়াছেন। এই অশোকচারিত পাঠ করিলে তৎকালীন ভারতবর্ষের ইতিহাস, অবস্থা, ভাষা, সভ্যতার উন্নতি প্রভৃতি অনেক বিষয়ের আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায়। কৃষ্ণবিহারী "সাধনা'র নিয়মিত লেখক ছিলেন, তঁহার লিখিত 'বুদ্ধচরিত’ ইহাতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ২৯ মে ১৮৯৫ তারিখে মাত্র ৪৮ বৎসর বয়সে তাহার মৃত্যু হইলে রবীন্দ্রনাথ এই শোকনিবন্ধ রচনা করেন। ‘ভক্তবন্ধুদত্ত পুষ্পাঞ্জলি স্বরূপে' লিখিত ২০ ছত্রের যে-কবিতাটি এই রচনায় সংকলিত হইয়াছে, তাহা রবীন্দ্রনাথের লেখা বলিয়া মনে হয় না। ২, ৯ মাঘ ১৩০৭ (২২ জানুয়ারি ১৯০১) তারিখে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রানী "ভারত-সম্রাস্ত্রী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু হয়। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ বর্তমান প্ৰবন্ধটি লিখিয়া ১১ মাঘ আদি ব্ৰাহ্মসমাজের সপ্ততিতম সাংবাৎসরিক উৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনে ‘প্রাঙ্গণের একপ্রান্তে দণ্ডায়মান হইয়া' পাঠ করেন। রচনাটি ফায়ুন ১৮২২ শক (১৩০৭)-সংখ্যা “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ও 'সাম্রাজ্যেশ্বরী' শিরোনামে ফাল্গুন ১৩০৭-সংখ্যা ভারতী’তে প্রকাশিত হয়। দুইটি পাঠের মধ্যে সামান্য পার্থক্য আছে, এখানে 'ভারতী’ পত্রিকার পাঠ গ্ৰহণ করা হইয়াছে। রচনাটির ইংরেজি অনুবাদ “Prayery for the Late Quccn-Empress at the Adi Brahmo Sanaj বচনার অন্তর্গত হইয়া জ্যৈষ্ঠ ১৮২৩ শক (১৩০৮)-সংখ্যা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় মুদ্রিত হয়। সম্ভবত ইহাই ইংরেজিতে অনূদিত কোনো রবীন্দ্ররচনার প্রথম প্রকাশ, অনুবাদকের নাম মুদ্রিত ठूश काश्।ि ৩, ১০ মে ১৯০১ তারিখে লন্ডনের রয়্যাল ইনস্টিট্রাশনে বিজ্ঞানী ড. জগদীশচন্দ্ৰ বসু (Stov-SSO) The Response of Inorganic Matter to Mechanical and Electrical Simulus বিষয়ে যে বক্তৃতা করেন, তাহার ফলে বৈজ্ঞানিক মহলে প্রবল আলোড়ন উপস্থিত হয়। Electriciant পত্রিকায় মুদ্রিত এই বক্তৃতার বিবরণ-সহ জগদীশচন্দ্র ও তাঁহার পত্নী অবলা বসু যে দুইটি পত্র (দ্র, ড. দিবাকর সেন সম্পাদিত “পত্রাবলী/আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, পৃ. ৫৯৬১, ১৭২), প্রেরণ করেন, সেগুলি পাইয়া রবীন্দ্রনাথ জগদীশচন্দ্ৰকে লেখেন : ‘ধনোহং কৃতকৃত্যোহং! তোমাদের চিঠি পাইয়া আমি প্ৰাতঃকাল হইতে নূতন লোকে বিচরণ করিতেছি।. আমার সভার মধ্যে তুমি তোমার অদৃশ্য কিরণের আলোক জ্বলিয়া দিয়ােছ।” এইদিনই তিনি অবলা বসুকে লিখিয়াছেন : “আমার গর্ব আমি গোপন করিতে পারিতেছি না- আমি সকলকে জয়সংবাদ জানাইয়া বেড়াইতেছি। এই জয়সংবাদ বাঙালি পাঠককে জানাইবার উদ্দেশ্যে তিনি বর্তমান প্ৰবন্ধটি রচনা করেন। এখানে যে "বিদূষী ইংরাজ মহিলা'র উল্লেখ আছে, তিনি হইতেছেন সিস্টার নিবেদিতা (১৮৬৭ ১৯১১)- তিনি ইংল্যান্ড হইতে রবীন্দ্রনাথকে যে বিবরণ লিখিয়া পাঠান (পত্রটি রক্ষিত হয় নাই), তাহার কিয়দংশ অনুবাদ করিয়া রবীন্দ্রনাথ প্ৰবন্ধমধে ব্যবহার করিয়াছেন। Electriciant পত্রিকায় জগদীশচন্দ্রের ভাষণটি মুদ্রিত হয়। তাহা অবলম্বন করিয়া