পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રે જે O রবীন্দ্র-রচনাবলী রবীন্দ্রনাথ জড় কি সজীব ?’ (‘বঙ্গদর্শন, শ্রাবণ ১৩০৮) প্ৰবন্ধটি রচনা করেন। 8. জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩-সংখ্যা হইতে পৌষ-সংখ্যা পর্যন্ত 'প্রবাসী৷” মাসিকপত্রে রবীন্দ্রনাথকে লিখিত 'জগদীশচন্দ্র বসুর পত্রাবলী' ধারাবাহিকভাবে মুদ্রিত হইতে থাকে। তাঁহারই ভূমিকম্বরূপ রবীন্দ্রনাথ পত্রপরিচয়’-শীর্ষক রচনাটি ২২ চৈত্র ১৩৩২ তারিখে লিখিয়া দেন। এই পত্রগুলি ড. দিবাকর সেন কর্তৃক সম্পাদিত হইয়া পত্রাবলী/ আচার্য জগদীশচন্দ্ৰ বসু' নামে বসু বিজ্ঞান মন্দির হইতে প্ৰকাশিত হইয়াছে (১৯৯৪)। রচনা শেষে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “যদি কোনোদিন এরই উত্তরে প্রত্যুত্তরে আমার চিঠিগুলিও পাওয়া যায়'- সবগুলি না হইলেও রবীন্দ্রনাথলিখিত কিছু পত্র পাওয়া গিয়াছিল, সেগুলি জগদীশচন্দ্রের পত্রাবলির প্রকাশ সমাপ্ত হইলে মাঘ । চৈত্র ১৯৩৩ সংখ্যা ‘প্রবাসীতে মুদ্রিত হইয়াছিল, আরও-কিছু পত্র মুদ্রিত হয় ফায়ুন ১৩৪৪ হইতে আষাঢ় ১৩৪৫ সংখ্যাগুলিতে। এগুলি পুলিনবিহারী সেনের সম্পাদনায় বিশ্বভারতী গ্রন্থালয় হইতে চিঠিপত্ৰ’ ষষ্ঠ খণ্ডে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইয়াছে (১৯৫৭)। ৫. জগদীশচন্দ্র বসুর জীবনাবসান হয় ২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ তারিখে। ইহার পরে রবীন্দ্রনাথের রচনাটি প্রবাসী'র পৌষ-১৩৪৪ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। রচনাটির সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃত 38(Sft 3ities its sev-73), The Modern Review -C fir হইয়াছিল। উক্ত প্রবন্ধের শেষে টীকায় আছে, জগদীশচন্দ্রের মৃত্যুসংবাদ পাইয়া রবীন্দ্রনাথ স্বহস্তলিখিত পাণ্ডুলিপিটি রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত আছে। ৬. শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রমের তরুণ শিক্ষক সতীশচন্দ্র রায়ের (জন্ম : ১৮৮২) অকালমৃত্যু ঘটে ১৮ মাঘ ১৩১০ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯০৪) তারিখে। রবীন্দ্রনাথ তাহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করিয়া পরলোকগত সতীশচন্দ্র রায়” প্ৰবন্ধটি লেখেন, সেটি চৈত্র ১৩১০-সংখ্যা 'বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় মুদ্রিত হয়। অতঃপর সতীশচন্দ্রের "গুরুদক্ষিণা' (১৩১১) গ্রন্থটি প্রকাশিত হইলে তিনি শ্রাবণ ১৩১১-সংখ্যা “বঙ্গদর্শন'-এ তাহার একটি সমালোচনা” লেখেন। পরে এই দুইটি রচনা মিলাইয়া তিনি ‘সতীশচন্দ্র রায়’-শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্ৰস্তুত করেন ও সেটি ‘গদ্যগ্রন্থাবলী” ১ম ভাগ বিচিত্র প্রবন্ধ' (১৩১৪) গ্রন্থের ‘বন্ধুস্মৃতি’ বিভাগে সংকলিত হয়। ‘বিচিত্ৰ প্ৰবন্ধ'-এর পরবর্তী সংস্করণে বিভাগটি বর্জিত হইয়াছিল। রচনাটি সতীশচন্দ্রের "গুরুদক্ষিণা' গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা' হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ৭. দর্শনশাস্ত্রের বিশিষ্ট অধ্যাপক মোহিতচন্দ্ৰ সেন (১৮৭০-১৯০৬)। রবীন্দ্রনাথের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া কলিকাতার কলেজের চাকরি ত্যাগ করিয়া স্বল্পবেতনে শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রমের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তঁহার সম্পাদনায় রবীন্দ্রনাথের “কাব্যগ্রন্থ' নয়টি খণ্ডে প্রকাশিত হয় (১৩১০)। স্বাস্থ্যর কারণে মোহিতচন্দ্র দীর্ঘকাল ব্রহ্মচর্যাশ্রমে কাজ করিতে পারেন নাই। অতঃপর ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩১৩ (৯ জুন ১৯০৬) তারিখে তাহার জীবনাবসান ঘটিলে রবীন্দ্রনাথ বন্ধুবিয়োগে একটি শোক-প্রবন্ধ লেখেন ও সেটি শ্রাবণ ১৩১৩ সংখ্যা “বঙ্গদর্শন'- এ মুদ্রিত ও গদ্যগ্রন্থাবলী” ১ম ভাগ বিচিত্র প্রবন্ধ” গ্রন্থের ‘বন্ধুস্মৃতি’ বিভাগে সংকলিত হয়। ২য় সংস্করণ বিচিত্ৰ প্ৰবন্ধ’-তে এই বিভাগটি বর্জিত হইয়াছিল। ৮. মানসী" পত্রিকার আষাঢ় ১৩১৭-সংখ্যায় রমেশচন্দ্ৰ-প্রাসঙ্গিক পত্রটির প্রকাশকালে সম্পাদকীয় মন্তব্য ছিল : চৈতন্য লাইব্রেরীর সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত গীেরহরি সেন মহাশয়কে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রবাবু স্বগীয় রমেশচন্দ্র সম্বন্ধে যে পত্র লিখিয়াছেন, গৌরহরিবাবুর অনুমতি অনুসারে তাহা প্রকাশিত হইল।” শ্ৰীঅমলেন্দু ঘোষ রচনাটি সংগ্ৰহ করিয়া দিয়াছেন। ৯. রিপন (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ) কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ এবং বঙ্গীয়সাহিত্য-পরিষদের অন্যতম পরিচালক বহু গ্রন্থের লেখক রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী (১৮৬৪-১৯১৯)