পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&S রবীন্দ্র-রচনাবলী একটি সংকলন “প্ৰসাদ' নামে প্ৰকাশ করিতে আগ্রহী হইয়া রবীন্দ্রনাথকে পত্র লেখেন। ইহার উত্তরে রবীন্দ্রনাথ ২৬ মাঘ ১৩২৬ তারিখে লেখেন : মুলুর সম্বন্ধে আমার বক্তৃতা ও কালীমোহনের লেখাটি পুস্তিকায় গ্রহণ করিবেন।. আমি এই সঙ্গে একটি লেখা পাঠাইতেছি। ইহা আপনার পুস্তিকায় প্রকাশ করিতে পারেন। উক্ত লেখাটি ছাত্র মুলু নামে 'প্ৰসাদ ॥১৩২৬৷৷ পুস্তিকায় মুদ্রিত হয়। ১৪. সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের বিশিষ্ট নেতা শিবনাথ শাস্ত্রীর (১৮৪৭-১৯১৯) মৃত্যু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ (১৩ আশ্বিন ১৩২৬) তারিখে। ইহার মাসখানেক পরে আসামের গৌহাটি শহরের ব্রাহ্মসমাজগৃহের প্রাঙ্গণে ১৬ কার্তিক শিবনাথ শাস্ত্রীর স্মৃতিসভায় সভাপতিত্ব করার সময়ে রবীন্দ্রনাথ যে ভাষণ দেন, বর্তমান রচনাটি তাহারই লিখিত রূপ। ১৫, ১৭ শ্রাবণ ১৩২৯ তারিখে সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরে বিদ্যাসাগর স্মরণসভায় রবীন্দ্রনাথ সভাপতিত্ব করেন। এই উপলক্ষে তিনি যে ভাষণ দেন, বর্তমান রচনাটি তাহার প্রদ্যোতকুমার সেনগুপ্ত -কৃত অনুলেখন। ১৬. রচনাটি সম্পর্কে সজনীকান্ত দাস লিখিয়াছেন : “রঞ্জন পাবলিশিং হাউস মেদিনীপুর স্মৃতিরক্ষা-সমিতির পক্ষে বিদ্যাসাগর-গ্রন্থাবলী তিনখণ্ডে প্রকাশ করিতেছিল; প্রথম খণ্ড (সাহিতা) দেখিয়া তিনি । রবীন্দ্রনাথ। স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া আমাকে লিখিয়া পঠাইলেন।" ইহার পর তিনি রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরের প্রতিলিপিতে রচনাটি প্রকাশ করিয়াছেন। দ্র, ‘সাহিত্যের পূর্বসূরী প্ৰণাম’, শনিবারের চিঠি, বৈশাখ ১৩৬৮, পৃ. ৬। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ (, জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৫ মেদিনীপুরের তদানীন্তন জেলা শাসক বিনয়রঞ্জন সেনকে লেখেন : “বিদ্যাসাগরের পুণ্যন্মতি রক্ষার উদেশে প্রকাশিত ‘বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী"র প্রথম খণ্ড পেয়ে বিশেষ আনন্দ লাভ করেছি। তারই বেদীমূলে নিবেদন করবার উপযুক্ত এই অর্ঘ্য রচনা। অকৃত্রিম মনুষ্যত্ব যাঁর চরিত্রে দীপ্তমান হয়ে দেশকে সমুজ্জ্বল করেছিল, যিনি বিধিদত্ত সম্মান পূর্ণভাবে নিজের অস্তরে লাভ করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমরা সেই ক্ষণজন্ম পুরুষকে শ্ৰদ্ধা করবার শক্তি দ্বারাই তার স্বদেশবাসীরূপে তার গৌরবের অংশ পাবার অধিকার প্রমাণ করতে পারি। যদি না পারি। তবে তাতে নিজেদের শোচনীয় হীনতারই পরিচয় হবে। এই আগীেরব থেকে বিস্মৃতিপরায়ণ বাঙালিকে রক্ষা করবার জন্যে যাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন তাদের সকলকে সর্বাস্তঃকরণে সাধুবাদ দিই।” ১৭, ১৭ ডিসেম্বর ১৯৩৯ তারিখে মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর স্মৃতি-মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করিয়া রবীন্দ্রনাথ অভিভাষণটি পাঠ করেন। রচনাটি আনন্দবাজার পত্রিকা’র (১ পৌষ ১৩৪৬৷৷ প্রতিবেদনের সহিত ও পৌষ ১৩৪৬-সংখ্যা শনিবারের চিঠি’তে “বিদ্যাসাগর-স্মৃতি-মন্দির শিরোনামে মুদ্রিত হয়, শেষোক্ত পাঠে রচনার তারিখ পাওয়া যায় ২৮ নভেম্বর ১৯৩৯। এই উপলক্ষে লিখিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাটি বর্তমান খণ্ডের “কবিতা’ অংশে সংকলিত হইয়াছে। ১৮. দীর্ঘ রোগভোগের পরে রসসাহিত্য-প্রণেতা সুকুমার রায়ের (১৮৮৭-১৯২৩) অকালমৃত্যু ঘটে ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ (২৪ ভাদ্র ১৩৩০) তারিখে। তার স্মরণে শান্তিনিকেতনের উপাসনা-মন্দিরে ২৬ ভাদ্র রবীন্দ্রনাথ যে বিশেষ উপাসনা করেন, বর্তমান রচনাটি তাহারই লিখিত রূপ। ১৯. সুকুমার রায় -রচিত ‘পাগলা দাণ্ড' প্ৰথম প্রকাশ : ? ১৯৪০ গ্রন্থের ভূমিকা হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ২ জুন ১৯৪০ তারিখে এই রচনাটি লেখেন ও এটি তাহার হস্তাক্ষরেই মুদ্রিত হয়। ২০. যুরোপ হইতে ভারতবর্ষে প্রত্যাবর্তনের পথে ইটালিতে ট্রেন-দূর্ঘটনায় আহত হইয়া উইলিয়ম উইনস্ট্যানলি পিয়ার্সনের মৃত্যু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ তারিখে। কার্তিক ১৩৩০ ংখ্যা “শান্তিনিকেতন’-এর 'আশ্রম সংবাদ'-এ লেখা হয় : “শ্রদ্ধাস্পদ পিয়ার্সন সাহেবের স্মৃতিরক্ষার্থ কি করা হইবে সে বিষয়ে নির্ধারণ করিবার জন্য কলাভবনে একটি সভা হয়। সভায় শ্ৰীযুক্ত এভুজ সাহেব বলেন যে হাসপাতালের উন্নতিসাধন করা মিঃ পিয়ার্সনের অত্যন্ত প্রিয়