পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN\ রবীন্দ্র-রচনাবলী কার্যের দ্বারা পরিষৎ যে আদর্শ দেখালেন, কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, তা সার্থক হোক।” ৩৪. বিশিষ্ট রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের (১৮৬১-১৯৪৪) সহিত বিভিন্নক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতার সম্পর্ক ছিল। প্ৰফুল্লচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের প্রায় সমবয়সী ছিলেন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৩২ কলিকতা টাউন হলে আচার্য রায়ের সপ্ততিতম জন্মবার্ষিকী উৎসবে রবীন্দ্রনাথ সভাপতিত্ব করেন ও ২২ অগস্ট ১৯৩২ তারিখে রচিত অভিনন্দনপত্রটি পাঠ করেন। ১৩ ডিসেম্বর আনন্দবাজার পত্রিকা'। ইহা মুদ্রিত করিয়া সংবাদ দেয় : ‘জয়ন্তী কমিটির পক্ষ হইতে অভিনন্দন পত্ৰখানি একটি কারুকার্যখচিত সুন্দর চর্মপটিকার আধারে দেওয়া হইয়াছে। উক্ত চর্মপেটিকার কারু-শিল্প বিখ্যাত চিত্রশিল্পী শ্ৰীযুক্ত নন্দলাল বসু -কর্তৃক পরিকল্পিত এবং কবির পুত্রবধু শ্ৰীযুক্তা প্রতিমা দেবী -কর্তৃক অঙ্কিত। ইহার সমস্ত ব্যয় রবীন্দ্রনাথ বহন করিয়াছেন।. 'लोयनाथ ঠাকুরের FK2Refv six Mahatnaji and the Depressed Humanity আচার্য রায়কে উৎসগীকৃত করা হইয়াছে। বইখানি কারুকার্যাশাভিত একটি সুন্দর চর্মধারে আচ্ছাদিত করিয়া রবীন্দ্ৰনাথ উপহার দিয়াছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ আচার্য রায়কে আশীৰ্বাদস্বরূপ দুই ছত্র কবিতা একটি সুন্দর তাম্রফলকে খোদিত করাইয়া দিয়াছেন। তাম্রফলকটি মোরাদাবাদে পরিকল্পিত ও প্ৰস্তুত। কবিতাটি এই :- “প্রেম রসায়নে, ওগো সৰ্ব্বজনপ্ৰিয়, —বর্তমান খণ্ডে "কবিতা’ অংশেও অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। ৩৫. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণপুরুষ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের (১৮৬৪-১৯২৪) সহিত বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূত্রে রবীন্দ্রনাথ জড়িত ছিলেন। আণ্ডতোয্যের পুত্র বামাপ্রসাদ পিতার কয়েকটি বাংলা রচনা সংকলন করিয়া জাতীয় সাহিত্য” নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন ১৯৩২ সালে। তাহার অনুরোধে গ্রন্থটির ভূমিকা হিসাবে রবীন্দ্রনাথ বর্তমান রচনাটি প্রণয়ন করেন। রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত ইহার খসড়ায় তারিখ পাওয়া যায় ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ (২৫ ভাদ্র SOs) ৩৬. শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রমের অন্যতম প্রথম মারাঠি ছাত্র শ্যামকান্ত সরদেশাই (১৯০০২৫) ১৯১২ সালে পৌষ-উৎসবের সময়ে ভর্তি হন ও ১৯১৬ সালে কৃতিত্বের সহিত ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া আশ্রম ত্যাগ করেন। ড. যদুনাথ সরকারের অনুরোধে তঁহার পিতা গোবিন্দ সরদেশাই যদুনাথের মাধ্যমেই পুত্রকে এখানে ভর্তি করাইয়া দেন। অল্পদিনের মধ্যেই বাংলা শিখিয়া শ্যামকান্ত মহারাষ্ট্রের জীবনযাত্রা ও ইতিহাস লইয়া বহু রচনা লেখেন ও সেগুলি বিদ্যালয়ের হস্তলিখিত পত্রিকাগুলিতে প্ৰকাশিত হয়। জার্মানিতে বিজ্ঞান বিষয়ে তিনি ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন, কিন্তু যক্ষ্মরোগে আক্রান্ত হইয়া সেখানেই তাহার অকালমৃত্যু ঘটে। শান্তিনিকেতনে থাকার সময়ে তিনি পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনকে যে চিঠিগুলি লিখিতেন, সেগুলি সমকালীন আশ্রমজীবন ও রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গে অত্যন্ত মূল্যবান। মাঝাঠি ও ইংরেজি ভাষায় লিখিত এই পত্রগুলি এবং পরে পুনার ফাগুসন কলেজ ও বিদেশ হইতে লিখিত পত্রাবলি তাহার পিতা শ্যামকান্তটা পত্রে’ (১৯৩৪) গ্রন্থে প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থটির জনা বাংলায় একটি ভূমিকা লিখিয়া দেন ১১ জুন ১৯৩৩ তারিখে। তঁহার হস্তাক্ষরের লিপিচিত্র ও उाशद्ध भांलाठेि अमृतान १श् भूष्टि श। ৩৭. রবীন্দ্রনাথের ভাষায় প্রিয়নাথ সেন (১৮৫৪-১৯১৬) ছিলেন “সাত সমুদ্রের নাবিক'- বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি ও ইতালীয় ভাষা ও সাহিত্যে র্তাহার অবাধ অধিকার ছিল। বয়সের পার্থক্য সত্ত্বেও তঁহার ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে এক গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়িয়া ওঠে। অষ্টম খণ্ড চিঠিপত্র’ (১৩৭০) গ্রন্থে উভয়ের পত্রাবলিতে এই সম্পর্কের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রিয়নাথ