পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় Sእ ፄ যত পড়িয়ছিলেন, তত লিখিয়া যান নাই। তঁহার মৃত্যুর দীর্ঘকাল পরে পুত্র প্রমোদনাথ সেন পিতার রচনাগুলি একত্রিত করিয়া প্রিয়-পুষ্পাঞ্জলি’ (১৩৪০) নামে প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থটির মুখবন্ধ” হিসাবে বর্তমান রচনাটি লিখিয়া দেন। ২৯ আষাঢ় ১৩৪০ তারিখে। ৩৮, শাস্তিনিকেতন ব্ৰহ্মচর্যাশ্রমের প্রথম শিক্ষকদের অন্যতম। জগদানন্দ রায় (১৮৬৯১৯৩৩) বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধ ও গ্ৰন্থরচয়িতা হিসাবে সুপরিচিত। রবীন্দ্রনাথ জগদানন্দকে প্রথমে শিলাইদহের জমিদারি-কাছারির কর্মচারী এবং পরে পুত্র রথীন্দ্রনাথের অন্ধ-শিক্ষক ও শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রমের শিক্ষক পদে নিযুক্ত করেন। ব্রহ্মচর্যাশ্রমে ও বিশ্বভারতীতে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কাজ করিয়া জগদানন্দ অবসর গ্রহণ করেন। ২৫ জুন ১৯৩৩ তারিখে শাস্তিনিকেতনে তাহার জীবনাবসান ঘটিলে রবীন্দ্রনাথ মন্দিরে উপাসনা করিয়া তাহার স্মৃতির বক্তৃতা' পাদটীকা-সহ তাহার ভাষণটি "জগদানন্দ রায়” নামে ভাদ্র ১৩৪০-সংখ্যা ‘প্রবাসী’তে মুদ্রিত হইয়াছিল। ৩৯. উদয়শঙ্কর (১৯০০-৭৭), আস্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্ৰসিদ্ধ নৃত্যশিল্পী; পিতা উদয়পুরে ঝালোয়ার রাজার দেওয়ান শ্যামশঙ্কর। উদয়শঙ্কর বােম্বাইয়ের জে. জে. স্কুল অব আর্ট এবং লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব আর্টস-এ চিত্রবিদ্যা শিক্ষা করেন। শেষোক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ উইলিয়াম রোটেনস্টাইন রুশ নৃত্যশিল্পী আনা পাভলোভার সহিত তাহার পরিচয় করাইয়া দিলে আনা-র অনুরোধে তিনি ‘হিন্দু বিবাহ’ ও ‘রাধাকৃষ্ণ' নামক দুইটি নৃত্য-পরিকল্পনা করিয়া দেন ও নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। এইভাবে উদয়শঙ্করের নৃত্যশিল্পী-জীবনের সূচনা হয়। নৃত্যকলায় তাহার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকিলেও কল্পনাশক্তি ও সহজাত নৈপুণ্যে বিশিষ্ট নৃতাশিল্পী হিসাবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। যুরোপ ও আমেরিকায় বিপুল জনসমাদর লাভ করিয়া তিনি ১৯৩৩ খৃষ্টাব্দে নাচের দল লইয়া ভারতে আসেন। ৬ জুলাই ১৯৩৩ (২২ আষাঢ় ১৩৪০) কলিকাতায় ম্যাডান প্যালেস ভ্যারাইটিসে রবীন্দ্রনাথ উদয়শঙ্কর ও র্তাহার সম্প্রদায়ের নৃত্যানুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। অনুষ্ঠানের পূর্বে উদয়শঙ্কর বলেন, আনা পাভলোভা, গান্ধীজি ও রবীন্দ্রনাথকে তাহার সম্প্রদায়ের নাচ দেখাইবার ইচ্ছা ছিল— পাভলোভার মৃত্যু ও গান্ধীজির কর্মব্যস্ততার জন্য তাহার দুইটি ইচ্ছা পূর্ণ হয় নাই, তৃতীয়টি আজ সফল হইবে। ৭ জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকা লেখে : ‘নৃত্যোৎসব সম্পন্ন হইবার পর কবিবর উদয়শঙ্করকে পুষ্পমালো ভূষিত করেন এবং তঁহাকে আশীৰ্বাদ করিয়া বলেন,- “নটরাজ শঙ্কর প্রাচীন ভারতের রসধারার উৎস- আমি আশা করি আমাদের এই শঙ্কর (উদয়শঙ্কর) হইতে সেই বিলুপ্তপ্রায় ভারতীয় প্রাচীন রস বিজ্ঞানের পুনরুজ্জীবন সম্ভবপর হইবে।” ইহার পর তাঁহারই আহবানে উদয়শঙ্কর তাহার সম্প্রদায়ের কয়েকজনকে লইয়া ১২ জুলাই (২৮ আষাঢ়) শান্তিনিকেতনে আসিয়া নৃতা পরিবেশন করেন। রবীন্দ্রনাথ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁহাকে আশীৰ্বাদ জানান। তিনি আশীর্বাণীটি লিখিয়া দেন ও সেটি ভাদ্র ১৩৪০-সংখ্যা 'প্রবাসী'র বিবিধ প্রসঙ্গীতে ‘নৃত্য-সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মত) শিরোনামে মুদ্রিত হয়। ইহার ২৯ আষাঢ় ১৩৪০ তারিখ-চিহ্নিত রবীন্দ্রনাথের হস্তলিখিত খসড়াটি রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত আছে। রচনাটির রবীন্দ্রনাথ-সংশোধিত টাইপ-করা ইংরেজি অনুবাদের পাণ্ডুলিপিও রক্ষিত হইয়াছে। ঈষৎ পাঠান্তরে রচনাটি সেপ্টেম্বর ১৯৩৩-সংখ্যা Visva-Bharat N'Wy q भूधिर श्श : Uday Sankar! You have made the art of dancing your life's companion. through it you havc won the laurels of the West, Now you are back home after long absence. Your motherland has kept ready for you her love and her hlessings, and the poet of Bengal offers them on her behalf. Before you bid good-bye to the Ashrama there is one thing would like to