পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় Ridd রবীন্দ্রনাথ তীহাকে প্রাচ্য প্রথায় আন্তরিক সংবর্ধনা জানাইয়া বলেন, আবদুল গফুফর খান জেলে থাকিবার সময়ে তঁহার পুত্র ওয়ালি খানকে শিক্ষার নিমিত্ত শান্তিনিকেতনে প্রেরণ করিয়া বিশ্বভারতীর প্রতি বিশ্বাসের পরিচয় দিয়াছিলেন। ৩ সেপ্টেম্বর তঁহার শান্তিনিকেতন পরিত্যাগের সময়ে রবীন্দ্রনাথ তাহকে বিদায় অভিনন্দন জানাইয়া যাহা বলেন, তাহা তিনি স্বহস্তে লিপিবদ্ধও করিয়াছিলেন, তাহার প্রতিলিপি এবং ইংরেজি ও উর্দু অনুবাদ পরবর্তীকালে একটি অনুষ্ঠানপত্রীতে (১৯৬৯) মুদ্রিত হইয়াছিল। ৪৩. দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৮২-১৯৩৫)। রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথের পৌত্র। ইনি অত্যন্ত সুকণ্ঠ ছিলেন ও গানের স্বরলিপি-রচনায় তাহার স্বাভাবিক দক্ষতা ছিল। ফলে রবীন্দ্রসংগীতের সুর-সংরক্ষণে র্তাহার ভূমিকা অগ্রগণা। অমায়িক স্বভাবের দিনেন্দ্রনাথ অভিনয়েও কুশলী ছিলেন। ফলে শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম ও বিশ্বভারতীর অভিনয় ও সংগীতানুষ্ঠানে দিনেন্দ্রনাথের সহযোগিতা অপরিহার্য ছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সহিত মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি ১৯৩৩ খৃষ্টাব্দে শান্তিনিকেতন পরিত্যাগ করিয়া কলিকাতায় চলিয়া যান ও সেখানেই ২১ জুলাই ১৯৩৫ তারিখে তাহার মৃত্যু ঘটে। তাহার মৃত্যুসংবাদ আশ্রমে পোছাইলে ৫ শ্রাবণ ১৩৪২ (২২ জুলাই) মন্দিরে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় রবীন্দ্রনাথ যে-ভাষণ দেন, সেইটিই দিনেন্দ্রনাথ’ নামে ভাদ্র ১৩৪২-সংখ্যা 'প্রবাসী’তে মুদ্রিত হয়। ৪৪. দিনেন্দ্রনাথের রচিত গান ও তাহদের স্বরলিপি, কবিতা, প্ৰবন্ধ, আশীৰ্বাণী ও শুভেচ্ছা! এবং দিনেন্দ্র-স্মরণে রচিত বিভিন্ন ব্যক্তির কিছু লেখা একত্রিত করিয়া তাহার পত্নী কমলা দেবী "দিনেন্দ্র রচনাবলী' নামে ১৩৪৩ সালে প্রকাশ করেন। ১ ভাদ্র ১৩৪৩ রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থটির যে “ভূমিকা' লেখেন, তাহাই এখানে সংকলিত হইয়াছে। ৪৫, জওহরলাল নেহরুর (১৮৮৯-১৯৬৪) পত্নী কমলা নেহরু (১৮৯৯-১৯৩৬) যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হইয়া জেনেভা শহরে পরলোকগমন করেন। তাহার মৃত্যুসংবাদ পাইয়া রবীন্দ্রনাথ ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ জওহরলালকে টেলিগ্রামে শোকজ্ঞাপন করেন : 'Please accept my heartful condolence. She shared you heroism in her life and in her death she lives as the undying glory of that heroism. SS মার্চ কমলা নেহরুর শ্ৰাদ্ধবাসরে মন্দিরে রবীন্দ্রনাথের উপাসনা করিবার কথা ছিল, কিন্তু ওইদিন কলিকাতায় তাহার কাজ থাকায় তিনি ৮ মার্চ আশ্রমে ‘কমলা দিবস’ পালন উপলক্ষে মন্দিরে উপাসনা করেন। ক্ষিতীশ রায় তাহার ভাষণের অনুলেখন লইয়াছিলেন, রবীন্দ্রনাথ প্রায় সম্পূর্ণ রচনাটিই সংশোধন ও পুনর্লিখন করেন। ইহার পাণ্ডুলিপিটি 'ঋতুরাজ জওহরলাল' নামে মুদ্রিত হইয়াছে শ্রাবণ-আশ্বিন ১৩৭১ সংখ্যা বিশ্বভারতী পত্রিকা’য়। উল্লেখ্য, এইরূপ নামকরণ রবীন্দ্রনাথের অভিপ্রেত ছিল না, তাহার হস্তলিপি হইতে শব্দগুচ্ছটি স্বতন্ত্রভাবে ব্লক করিয়া রচনাশীর্ষে ব্যবহার করা হয়। রবীন্দ্রনাথ এই উপলক্ষে মরণসাগরপারে তোমরা অমর” গানটিও রচনা করিয়াছিলেন। ৪৬. বিশ্বভারতীর অধ্যাপক নিতাইবিনোদ গোস্বামীর মাতৃহীন একমাত্র পুত্ৰ বীরেশ্বর শৈশব ইহঁতে শান্তিনিকেতনের ছাত্র ছিলেন, প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া শিক্ষাভবনে আই এ, পড়িবার সময়ে স্বল্পকালীন রোগভোগের পরে ১৪ অগস্ট ১৯৩৭ রাত্রে তঁহার মৃত্যু ঘটে। ১৫ আগস্ট আশ্রমে বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠিত হইবার আয়োজন হইয়াছিল, এই দুঃসংবাদে তাহা বন্ধ হইয়া যায়। ৮ ভাদ্র (২৪ অগস্ট) সিংহসদনে বীরেশ্বরের শ্ৰাদ্ধবাসরে রবীন্দ্রনাথ তাহার স্মৃতিচারণ করেন। রচনাটির অমিয় চক্রবর্তী -কৃত ও রবীন্দ্রনাথ-অনুমোদিত ইংরেজি অনুবাদ সেপ্টেম্বর à Roo-oof The Viswa-Bharati News-lo भूफ्रिड হয়। ৪৭. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-৯৪)-সংক্রান্ত রচনাটি রবীন্দ্রনাথ ১৮ জুন ১৯৩৮ (৩ আষাঢ় ১৩৪৫) তারিখে কালিম্পঙে লিখিয়া বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়ের কমী কিশোরীমোহন সীতারাকে পাঠাইয়া লেখেন : “যুগান্তর কাগজের প্রার্থনা পূর্ণ করে এই লেখাটা পাঠলুম।