পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○の8 রবীন্দ্র রচনাবলী ১৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ গান্ধীজি শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে আসিলে আম্রকুঞ্জে তাহাকে সংবর্ধনা জানাইয়ী রবীন্দ্রনাথের ভাষণের মর্ম। বিশিষ্ট্র তরুন চৈনিক কবি সু-সী-মাে (Dr. Tse Mon Hsu) Sd8 337 রবীন্দ্রনাথের চীন-ভ্রমণের সময়ে তঁহার সর্বক্ষণের সঙ্গী ও দোভাষী ছিলেন। তাহার উপহােত চা-পানের সরঞ্জাম দিয়া শান্তিনিকেতনে একটি চা-চক্রের উদবােধন হয়, রবীন্দ্রনাথ তাহার নামকরণ করেন ‘সুসীম চা-চক্র” ও তােহর প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ‘হায় হায় হায়/দিন চলি যায়” গানটি লিখিয়া দেন। ংবাদপত্র হইতে জানা যায়, আমেরিকা ও যুরোপ ভ্রমণাস্তে সু-সী-মো ৫ অক্টোবর ১৯২ বোম্বাই বন্দরে অবতরণ করেন। ইহার অব্যবহিত পরে । ৮ অক্টোবর। তিনি শাস্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলে ৯ অক্টোবর কলাভবনের দ্বিতলে সুসীম চা-চত্রে তাহার সংবর্ধনা হয়। রবীন্দ্ৰনাথ এই উপলক্ষে যাহা বলেন, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অনাথনাথ বসু তাহার মর্ম শান্তিনিকেতনে চৈনিক সুধী সু-সীমের অভ্যর্থনা” প্রবন্ধের অন্তর্ভুক্ত করিয়া পৌষ ১৩৩৫-সংখ্যা ‘প্রবাসী’তে প্ৰকাশ করেন। উল্লেখ্য, ১৯৩২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ৩৪ বৎসর বয়সে বিমান-দুর্ঘটনায় এই তরুণ কবির জীবনাবসান ঘটে। ১৯. রাজনৈতিক নেতা, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন মালব্য (১৮৬১১৯৪৬) ২ ডিসেম্বর ১৯৩২ রাত্রে শাস্তিনিকেতনে আসিবার পরে ৩ ডিসেম্বর প্রাতে আম্রকুঞ্জে তঁহাকে সংবর্ধিত করা হয়। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ তীহাকে স্বাগত জানাইয়া ভাষণ দেন। ৩ ডিসেম্বর তিনি নির্মলকুমারী মহলানবিশকে এই প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন : 'মালব্যজিকে নিয়ে বাস্ত থাকতে হয়েছে। তিনি আজ বিকেলের গাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। সব দেখে শুনে খুব খুশী হয়েছেন। এখানকার সকলের তঁকে ভালো লেগেছে। তীক্ষ্ণ তীর বুদ্ধি সন্দেহ নেই, অসাধারণ তার যোগ্যতা- কথাবার্তা কইলেই বোঝা যায়।” ২০, ১৯৩২ সালের এপ্রিল-মে মাসে রবীন্দ্ৰনাথ পারস্য ও ইরাক ভ্ৰমণ করেন। এই যোগাযোগের ফলে পারস্যাধিপতি রেজা শাহ পাহলবী বিশ্বভারতীতে পারসিক সাহিত্য পড়াইবার জন্য কবি ও পণ্ডিত অধ্যাপক আগা পোরে দেবীেদকে (Aga Pore Davoud) নিযুক্ত করেন। তিনি ৯ জানুয়ারি ১৯৩৩ শাস্তিনিকেতনে আসিলে আম্রকুঞ্জে তাহাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ একটি ইংরেজি লিখিত ভাষণ পাঠ করেন (দ্র, Visva-Bharati Newy. February 1933) ২১. বিখ্যাত ব্যারিস্টার ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ‘দেশপ্ৰিয়” যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত (১৮৮৫-১৯৩৩) রাচিতে অন্তরীণ থাকার সময়ে ২২ জুলাই ১৯৩৩ মধ্যরাত্রে পরলোকগমন করেন। এই সংবাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছাইলে আশ্রমে শোকের ছায়া নামিয়া আসে। ২৪ জুলাই সকাল ৯টার সময়ে সমস্ত ক্লাস ছুটি দিয়া আশ্রমবাসীরা কোনার্কে রবীন্দ্রনাথের বাসভবনের সম্মুখে সমবেত হইলে তিনি এই গুরুতর জাতীয় ক্ষতিতে গভীর মর্মবেদনা ব্যক্ত করেন। ২২. বিখ্যাত আইনজীবী ও দেশনেতা বিঠলভাই জাহেরভাই প্যাটেল (১৮৭৩-১৯৩৩) ২২ অক্টোবর ১৯৩৩ তারিখে ভিয়েনা শহরে পরলোকগমন করেন। ২৩. হিজরত মহম্মদের জন্মদিন উপলক্ষে একটি বাণী লিখিয়া রবীন্দ্রনাথ কলিকাতার বিখ্যাত ব্যারিস্টার স্যার আবদুল্লাহ সুহরাওবরদির নিকট প্রেরণ করেন। বাণীটি ২৫ জুন ১৯৩৪ SLD BDBDL DLLLS DBBD BDB BBB DBuuD D BBDBD DDDD DDD ইংরেজি অনুবাদও পাঠাইয়াছিলেন। ২৪, কালীঘাট কালীমন্দিরে ছাগবলি বন্ধ করিবার উদ্দেশ্যে জয়পুরী ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত রামচন্দ্র শৰ্মা ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ তারিখ হইতে আমরণ অনশনের সংকল্প ঘোষণা করেন। এই প্রসঙ্গে হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রবীন্দ্রনাথকে লেখেন, তিনি যেন রামচন্দ্রকে নিরস্ত হবার অনুরোধ জানিয়ে একটি পত্র লেখেন। রবীন্দ্রনাথ ১৫ ভাদ্র ১৩৪২ (১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫) রামচন্দ্রকে লেখেন :