পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা ა o ა এবার দক্ষিণবায়ু দুঃখের নিশ্বাস এল বহে ; তুমি তো এলে না ফিরে ; এ আশ্রম তোমার বিরহে বীথিকার ছায়ায় আলোকে স্বগভীর পরিব্যাপ্ত শোকে কহিছে নির্বাক্বাণী বৈরাগ্যকরুণ ক্লাস্ত স্বরে, তাহারি রণনধ্বনি প্রান্তরে বাজিছে দূরে দূরে। শিশুকাল হতে হেথা মুখে-দুঃখে-ভরা দিন-রাত করেছে তোমার প্রাণে বিচিত্র বর্ণের রেখাপাত । কাশের মঞ্জরী -শুভ্ৰ দিশা, নিস্তব্ধ মালতী-ঝরা নিশা, প্রশান্ত শিউলি-ফোটা প্রভাত শিশিরে-ছলোচ্ছলো, দিগন্ত-চমক-দেওয়া সূর্যাস্তের রশ্মি জলোজলে । এখনো তেমনি হেথা আসিবে দিনের পরে দিন, তবুও সে আজ হতে চিরকাল রবে তুমি-হীন। বসে আমাদের মাঝখানে কন্তু যে তোমার গানে গানে ভরিবে না মুখসন্ধ্যা, মনে হয়, অসম্ভব অতি— বর্ষে বর্ষে দিনে দিনে প্রমাণ করিবে সেই ক্ষতি । বারে বারে নিতে তুমি গীতিস্রোতে কবি-আশীর্বাণী, তাহারে আপন পাত্রে প্রণামে ফিরায়ে দিতে আনি । জীবনের দেওয়া-নেওয়া সেই ঘুচিল অন্তিম নিমেষেই— স্নেহোজ্জল কল্যাণের সে সম্বন্ধ তোমার আমার গানের নির্মাল্য -সাথে নিয়ে গেলে মরণের পার। হায় হায়, এত প্রিয়, এতই দুর্লভ যে সঞ্চয় একদিনে অকস্মাৎ তারো যে ঘটিতে পারে লয় ! হে অসীম, তব বক্ষোমাঝে তার ব্যথা কিছুই না বাজে,