পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী মাটির বঁশিতে, চিরন্তন রচে খেলাঘর অনিত্যের প্রাঙ্গণের পর, তখন সে সম্মিলিত লীলারস তারি ভরে নিই যতটুকু পারি আমার বাণীর পাত্রে, ছন্দের আনন্দে তারে বহে নিই চেতনার শেষ পারে, বাক্য আর বাক্যহীন সত্যে আর স্বপ্নে হয় লীন । দুলোকে ভূলোকে মিলে শ্যামলে সোনায় মন্ত্র রেখে দিয়ে গেছে বর্ষে বর্ষে আঁখির কোণায় ; তাই প্রিয়মুখে চক্ষু যে পরশটুকু পায়, তার দুঃখে মুখে লাগে স্বধা, লাগে স্বর ; তার মাঝে সে রহস্য স্বমধুর অনুভব করি যাহা সুগভীর অাছে ভরি কচি ধানখেতে – রিক্ত প্রাস্তরের শেষে অরণ্যের নীলিম সংকেতে, আমলকীপল্লবের পেলব উল্লাসে, মঞ্জরিত কাশে, অপরাহুকাল তুলিয়া গেরুয়াবর্ণ পাল পাণ্ডুপীত বালুতট বেয়ে বেয়ে ধায় ধেয়ে তম্বী তরী গতির বিদ্যুতে হেলে পড়ে যে রহস্য সে ভঙ্গীটুকুতে, চটুল দোয়েল পাখি সবুজেতে চমক ঘটায় কাগো আর সাদার ছটায়