পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী চন্দ্রকান্ত। আজকালকার দিনে কোনটা তুচ্ছ, কন্যাটা না পণটা, তার হিসেব করা শক্ত নয়। যুবকরা তো সোনার মৃগ দেখেই ছোটে, সীতা পড়ে থাকেন পশ্চাতে । বিনোদ । যুবক যে কে, সে কি তার বয়স গুণে বের করতে হবে, আর সোনার রেণু যে কাকে বলে সে কি বুঝবে তার ভরি ওজন করে ? চন্দ্রকান্ত । এটা বেশ বলেছ, তোমার কবিতায় লিখে ফেলে। হে, কথাটা আজ বাদে কাল হারিয়ে না যায়। আমার একটা লাইন মনে এল, তুমি কবি, তার পাদপূরণ করে দাও দেখি– ও ভোলা মন, বল দেখি ভাই, কোন সোনা তোর সোনা । বিনোদ । কেনাবেচার দেনালেনায় যায় না তারে গোনা । চন্দ্রকান্ত । ভ্যাল মোর দাদা । আচ্ছা, আর-এক লাইন— ও ভোলা মন, বল সে সোনা কেমন করে গলে । বিনোদ । গলে বুকের দুখের তাপে, গলে চোখের জলে । চন্দ্রকান্ত । বহুৎ আচ্ছা আর-এক লাইন— ও ভোলা মন, সেই সোনা তোর কোন খনিতে পাই ? বিনোদ । সেই বিধাতার খেয়ালে যার ळेिक-ठेिकांना नांझे । চন্দ্রকান্ত । ক্যা বাং । আচ্ছা, আর-এক লাইন— ও ভোলা মন, সোনার সে ধন রাখবি কেমন করে ? বিনোদ । রাখব তারে ধ্যানের মাঝে মনের মধ্যে ভরে | চন্দ্রকান্ত। বাস, আর দরকার নেই, ফুল মার্ক পেয়েছ— পাসড, উইথ অনার্স। আর ভয় নেই, সন্ধানে বেরিয়ে পড়া যাক – সোনার স্বপন ধরুক-না রূপ অপরূপের হাটে ।