পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यां★ी 889Գ cनष्ठ हेप्क करञ्च । क्रिकटल न्ऊन न्डन थांबवांम श्रदश ७ घर्कैनांब्र कक्ज फूभिकांब्र উপরে প্রকাশিত আত্বীয়-লোকের ধারাবাহিক পরিচয়ের ইচ্ছা স্বাভাবিক। চিঠি সেই ইচ্ছা পূরণ করবার জন্তেই। কিন্তু, সকলপ্রকার রচনাই স্বাভাবিক শক্তির অপেক্ষা করে। চিঠি-রচনাও তাই । আমাদের দলের মধ্যে আছেন স্থনীতি। আমি তাকে নিছক পণ্ডিত বলেই জানতুম। অর্থাৎ, আন্ত জিনিসকে টুকরো করা ও টুকরো জিনিসকে জোড়া দেওয়ার কাজেই তিনি হাত পাকিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস ছিল। কিন্তু এবার দেখলুম, বিশ্ব বলতে যে-ছবির লোতকে বোঝায়, যা ভিড় করে ছোটে এবং এক মুহূর্ত স্থির থাকে না, তাকে তিনি তালভঙ্গ না করে মনের মধ্যে দ্রুত এবং সম্পূর্ণ ধরতে পারেন আর কাগজে-কলমে সেটা দ্রুত এবং সম্পূর্ণ তুলে নিতে পারেন। এই শক্তির মূলে আছে বিশ্বব্যাপারের প্রতি তার মনের সজীব আগ্রহ। তার নিজের কাছে তুচ্ছ বলে কিছুই নেই, তাই তার কলমে তুচ্ছও এমন একটি স্থান পায় যাতে তাকে উপেক্ষা করা যায় না। সাধারণত, এ কথা বলা চলে যে শব্দতত্বের মধ্যে যারা তলিয়ে গেছে শৰাচিত্র তাদের এলেকার সম্পূর্ণ বাইরে, কেননা চিত্রটা একেবারে উপরের তলায় । কিন্তু, সুনীতির মনে সুগভীর তত্ত্ব ভাসমান চিত্রকে ডুবিয়ে মারে নি এই বড়ে অপূর্ব। স্থনীতির নীরন্ধ চিঠিগুলি তোমরা যথাসময়ে পড়তে পাবে— দেখবে এগুলো একেবারে বাদশাই চিঠি । এতে চিঠির ইম্পিরিয়ালিজম ; বর্ণনাসাম্রাজ্য সর্বগ্রাহী, ছোটো বড়ো কিছুই তার থেকে বাদ পড়ে নি। সুনীতিকে উপাধি দেওয়া উচিত, লিপিবাচস্পতি কিম্বা লিপিসার্বভৌম কিম্বা লিপিচক্রবর্তী। ইতি ৩রা শ্রাবণ ১৩৩৪ । নাগপঞ্চমী ॥১ 6. সামনে সমূত্রের অর্ধচন্দ্রাকার তটসীমা। অনেক দূর পর্যন্ত জল অগভীর, জলের রঙে মাটির আভাস, সে যেন ধরণীর গেরুয়া আঁচল এলিয়ে পড়েছে । ঢেউ নেই, সমস্তদিন জলরাশি এগোয় আর পিছোয় অতি ধীর গমনে। অঙ্গরী আসছে চুপি চুপি পিছন থেকে পৃথিবীর চোখ টিপে ধরবে বলে— সোনার রেখায় রেখায় কৌতুকের মুচকে-হালি। 孵 * সামনে ৰী-দিকে একদল নারকেলগাছ, সুদীর্ঘ গুড়ির উপর সিধে হয়ে দাড়াতে পারে নি, পরস্পরের দিকে তাদের হেলাহেলি । নিত্যদোলায়িত শাখায় শাখায় ১ খ্ৰীমতী নির্মলকুমারী মহলানৰীশকে লিখিত