পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা একি মরীচিকা, পিপাসার স্বরচিত মোহ, একি আপনার সাথে আপন বিদ্রোহ ? নিজের দুঃসহ সঙ্গ হতে ছুটে যেতে চাও কোনো নূতন আলোতে— নিকটের সংকীর্ণতা করি ছেদ, দিগন্তের নব নব যবনিকা করি দিয়া ভেদ । আছ বিচ্ছেদের পারে ; যারে তুমি জান নাই, রক্তে তুমি চিনিয়াছ ষারে, সে যে ডাক দিয়ে গেছে যুগে যুগে যত হরিণীরে বনে মাঠে গিরিতটে নদীতীরে— জানায়েছে অপূর্ব বারতা কত শত বসন্তের অত্মিবিহবলতা । তারি লাগি বিশ্বভোলা মহা-অভিসার হয়েছে দুর্বার, অদূপ্তেরে সন্ধানের তরে দাড়ায়েছ স্পর্ধাভরে, একান্ত উৎসুক তব প্রাণ আকাশেরে করে ভ্রাণ— কৰ্ণ করিয়াছে খাড়া, বাতাসে বাতাসে আজি অশ্রুত বাণীর পায় সাড়া । ১ অগস্ট ১৯৩২ গোধুলি প্রাসাদ ভবনে নীচের তলায় সারাদিন কতমতো গৃহের সেবায় নিয়ত রয়েছ রত। সেথা তুমি তব গৃহসীমানায় বহু মানুষের সনে শত গাঠে বাধা কর্মের বন্ধনে । br@