বিষ্ণুদূতটা ধরল যখন যমদূতের মূর্তি এক নিমেষেই একেবারেই ঘুচল আমার ফুর্তি । সাত গলি সে পেরিয়ে শেষে একটা ঐধেtঘরে বসিয়ে আমায় রেখে দিল খড়ের জাঠির পরে । চোঙ্গ আনা পয়সা আছে পকেট দেখি ঝেড়ে, কেঁদে কইলাম, ‘ও পাড়েজি, এই নিয়ে দণও ছেড়ে ।” গুগুল বলে, ‘ওটা নেব, ওটা ভালো দ্রব্যই, আরো নেব চারটি হাজার লয়শো নিরেনববই— তার উপরে আর ছু অtলা, খুড়িটা তো মরবে, টাকার বোঝা বয়ে সে কি বৈতরণী তরবে । দেয় যদি তো দিক চুকিয়ে, নইলে—“পাকিয়ে চোখ যে ভঙ্গিটা দেখিয়ে দিলে সেটল মারাত্মক । “এমনসময়, ভাগ্যি ভালো, গুণ্ডাজির এক ভাগ্নি মূর্তিটা তার রণচণ্ডী, যেন সে রায়বাঘ নি, আমার মরপদশার মধ্যে হলেন সমাগত দাবানলের উর্ধ্বে যেন কালো মেঘের মতো । রাত্তিরে কাল ঘরে আমার উকি মারল বুঝি, যেমনি দেখা অমনি জামি রইছ চক্ষু বুজি । পরের দিনে পাশের ঘরে, কী গলা তার বাপ, মামার সঙ্গে ঠাও ভাষায় লয় লে বাক্যtলাপ । বলছে, “তোমার মরণ হয় না, কাহার বাছনি ও, পাপের বোঝা বাড়িয়ো না অার, ঘরে ফেরৎ দিয়ো— জাহা, এমন সোলার টুকরো— শুনে আগুন মামা ; বিঐ রকম গাল দিয়ে কয়, ‘মিহি স্থরটা থামা ।” একেই বলে মিহি স্বল্প কি, আমি ভাৰছি শুনে । দিন তো গেল কোনোমতে কড়ি বরগী গুনে । রাত্রি হবে ছপুর, ভাগ্নি ঢুকল ঘরে ধীয়ে ; চুপি চুপি বললে কানে, ‘ৰেতে কি চাস ফিরে ।”
- >