পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি শিউনন্দন দাড়ালে তার শূন্ত ভিটেয় এলে— তিনটে শিশুর ঠিকানা নেই, স্বী গেছে তার ভেসে । চুপ করে সে রইল বসে, বুদ্ধি পায় না খুজি । মনে হল, সব কথা তার হারিয়ে গেল বুঝি । ছেলেটা তার ভীষণ জোয়ান, সামরু বলে তাকে , এক-গলা এই জলে-ভোব সকল পাড়াটা কে মথন করে ফিরে ফিরে তিনটে গোক নিয়ে । ঘরে এসে দেখলে, স্থ হাত চোখে ঢাকা দিয়ে ইষ্টদেবকে স্মরণ ক’রে নড়ছে বাপের মুখ ; তাই দেখে ওর একেৰীরে জলে উঠল বুক— বলে উঠল, “দেবতাকে তোর কেন মরিস ভাকি । তার দয়াটা বঁচিয়ে যেটুক আজও রইল বাকি ভার নেব তার নিজের পরেই, ঘটুক-নাকে যাই আর, এর বাড়া তো সর্বনাশের সম্ভাবনা নাই আর * . এই বলে সে বাড়ি ছেড়ে পাকের পথে ঘুরে চিহ্ন-দেওয়া নিজের গোরু অনেক দূরে দূরে গোট পাচেক খোজ পেয়ে তার জানলে তাদের কেড়ে, মাথা ভাঙবে ভয় দেখাতেই সবাই দিল ছেড়ে । ব্যাবসাটা ফের শুরু করল নেহাত গরিৰ চালে, আশা রইল উঠবে জেগে আবার কোনো কালে । এদিকেতে প্রকাও এক জেলার অজগরে একে একে গ্ৰাস করছে যা আtছে তার স্তুরে । একটু যদি এগোয় আবার পিছন দিকে ঠেলে, দেনা পাওলা দিনরাত্রি জোয়ার-ভাটা খেলে । মাল তদন্ত করতে এল জুলিয়াচtঙ্গ বেনে, দশবছরের ছেলেটাকে সজে করে এলে । ছেলেটা ওর জেদ ধরেছে— ওই স্থধিয়া গাই পুঘৰে ঘরে জ্ঞাপন ক’রে ওইটে নেহাত চাই । >>