পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি শনির দশা আধৰুড়ে ওই মাহুষটি মোর নয় চেন— একলা বসে ভাবছে, কিংবা ভাবছে না, মুখ দেখে ওর সেই কথাটাই ভাবছি, মনে মনে আমি যে ওর মনের মধ্যে লfবছি । বুঝিবা ওর মেঝোমেয়ে পাতা ছয়েক ব’কে মাথার দিব্যি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ওকে । উমারানীর বিষম স্নেহের শাসন, জানিয়েছিল, চতুর্থীতে খোকার অন্নপ্রাশন— জিদ ধরেছে, হোক-না যেমন ক’রেই আসতে হবে শুক্রবার কি শনিবারের ভোরেই । আবেদনের পত্র একটি লিখেপাঠিয়েছিল বুড়ো তাদের কর্তীবাবুটিকে । বাৰু বললে, “হয় কখনো তা কি, মাসক বারের ঝুড়িকুড়ি হিসাব লেখা বাকি, সাহেব শুনলে আগুন হবে চটে, ছুটি নেবার সময় এ লক্ষ্ম মোটে ।” মেয়ের ছঃখ ভেবে বুড়ো বারেক ভেবেছিল কাজে জবাব দেবে। স্ববুদ্ধি তার কইল কানে রাগ গেল বেই থাষি, আসন্ন পেনসলের অাশা ছাড়াটা পাগলামি । নিজেকে সে বললে, "ওরে, এবtর না হয় কিনিস । ছোটোছেলের মলের মতো একট1-কোনো জিনিস ।” যেটার কথাই ভেবে দেখে দামের কথায় শেষে বাধায় ঠেকে এসে । শেষকালে ওর পড়ল মনে জাপানি ঝুমঝুমি, দেখলে খুশি হয়তো হৰে উমি । So Y