পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি পরের দিনে সেই বাড়িতে গেলেম সকালবেলা— ছেলেরা সৰ পথে করছে লড়াই-লড়াই খেলা, কাঠি হাতে দুই পক্ষের চলছে ঠকাঠকি । কোণের ঘরে দুই বুড়োতে বিষম বকশবকি— বাজিখেলায় দিনে দিনে কেবল জেতা হারা, দেনা-পাওলা জমতে থাকে, হিসাব হয় না সারা । গন্ধ আসছে রান্নাঘরের, শব্দ বাসন-মাজার ; শূন্ত ঝুড়ি দুলিয়ে হাতে কি চলেছে বাজার। একে একে এদের সবার মুখের দিকে চাই, কানে আসে রাত্রিবেলার “আমরা নাই নাই” । प्रांल८यांए5 רסין טאן< আকাশ শিশুকালের থেকে আকাশ আমার মুখে চেয়ে একলা গেছে ডেকে । দিন কাটত কেগণের ঘরে দেয়াল দিয়ে ঘেরা কাছের দিকে সর্বদা মুখ-ফেরা ; তাই স্বদূরের পিপাসাতে অতৃপ্ত মন তপ্ত ছিল । লুকিয়ে যেতেম ছাতে, চুরি করতেম আকাশভরা সোনার বরন চুটি, নীল অমৃতে ডুবিয়ে নিতেম ব্যাকুল চক্ষু দুটি । দুপুর রেীত্রে স্বদুর শূন্তে আর কোনো নেই পাখি, কেবল একটি সঙ্গীবিহীন চিল উড়ে যায় ডাকি নীল অদৃশুপানে ; আকাশপ্রিয় পাখি ওকে আমার হৃদয় জানে । স্তন্ধ ডালা প্রখর আলোর বুকে যেন সে কোন যোগীর ধেয়ান মুক্তি-অভিমুখে । তীক্ষ্ণ তীব্র স্থর n স্বল্প হতে সূক্ষ্ম হয়ে দূরের হতে দূর