পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপতী ১২১ यांश क्रम्ल, बांश यूक्ल उद, যাহা স্কুল দগ্ধ হোক, হও নিত্য নব । মৃত্যু হতে জাগো পুষ্পধন্থ, ছে অতন্থ, বীরের তন্থতে লহ তন্থ । তোমরা জান না, মহেশ্বর মদনকে অগ্নিবর দিয়েছিলেন, মৃত্যু দিয়েই তিনি তাকে অমর করেছেন । অনঙ্গই অমৃত দেবার অধিকারী হয়েছেন । মৃত্যুঞ্জয় যে-মৃত্যুরে দিয়েছেন হানি অমৃত সে-মৃত্যু হতে দাও তুমি আনি । সেই দিব্য দীপ্যমান দাহ উন্মুক্ত করুক অগ্নি-উৎসের প্রবাহ । মিলনেরে করুক প্রখর, বিচ্ছেদেরে করে দিক দুঃসহ স্বন্দর। মৃত্যু হতে ওঠে। পুষ্পধন্থ, হে অতন্থ, বীরের তন্থতে লহ তন্থ । মীনকেতুর পথ সহজ পথ নয়, সে নয় পুষ্পবিকীর্ণ ভোগের পথ, লে দেয় না আরামের তৃপ্তি । দেবদত্ত । শুনে ভয় হয় । কিন্তু বা নিয়ে বিপদ ঘটে তার কারণ হচ্ছে অনঙ্গজেব ষে-ঘরকে তার পায়ের ধূলিলেপনে চিহ্নিত করে নেন, সে-ঘরে অন্ত কোনো দেবতাকে প্রবেশ করতে দেন না। তাতেই পূজনীয়দের মনে ঈর্ষা জন্মায়। বিক্রম। মনে হচ্ছে কথাটা আমাকেই লক্ষ্য ক’রে । সাহল বাড়ছে। দেবদত্ত। রাজার সঙ্গে বন্ধুত্ব দুঃসাহসের চরম । ভাগ্যদোষেই রাজার বন্ধু ভুমুখ। ইচ্ছাক্রমে নয়। বিক্রম। তবে মুখ খোলে । স্পষ্ট করেই বলে, প্রজারা আমার নামে কী বলছে। দেবদত্ত। তারা বলছে, অন্তঃপুরের অবগুণ্ঠনতলে সমস্ত রাজ্যে জাজ প্রদোষীক্ষকার । রাজলক্ষ্মী রাজীর ছায়ায় মান । বিক্রম। দুমুখ, প্রজারঞ্জনে আর-একবার সীতার নির্বাসন চাই নাকি ? দেবদত্ত। নির্বাসন তো তুমিই দিতে চাও তাকে অন্তঃপুরে, প্রজারা ভাবে চায় সর্বজনের রাজসিংহাসনে। তার হৃদয়ের সম্পূর্ণ অংশ তো তোমার নয়, এক অংশ প্রজাদের। শুধু কি তিনি রাজবধু। তিনি ষে লোকমাতা। "