পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ রবীন্দ্র-রচনাবলী ৩। তুই তো ছাগল চরাতে গিয়েছিলি, উত্তরখণ্ডের খবর কিছু এনেছিল ? ১ । কাউকে যদি না বলে তো বলি । ৩ । ভয় কিলের ৷ বলে ফেল না । ১ । বললে না প্রত্যয় যাবে স্বয়ং রানী স্বমিত্রাকে দেখেছি ভৈরবীবেশে চলেছেন ধ্রুবতীর্থে। ২ । পাগল রে ! প্রথমা। না গো, উনি মিথ্যা বলছেন না । আমিও শুনেছি বটে । কাউকে বলতে সাহস করি নি। ৩। কার কাছে শুনলে । প্রথম । ওই ষে আমার ভাস্বরঝি মন্দাকিনী । তীর্থ করে ফিরে আসছিল । পথে দেখা । রাজকুমারী চলেছেন মার্তগুদেবের উপাসিকার দীক্ষা নিতে । ২। বিশ্বাস করি কী করে । বুদ্ধ, তোর সঙ্গে কথা হল কিছু ? ১। প্রণাম করে বললুম, তুমি আমাদের রাজকুমারী স্থমিত্রণ । তিনি বললেন, অামার নাম তপতী। জানিস তো সেই অপরূপ রূপ । সেই লাবণ্য যেন আগুনের স্নান করে এল। বললেম, দেবী, চরণের সেবক হয়ে যাই সঙ্গে । তিনি নীরবে তর্জনী তুলে ফিরে যেতে ইঙ্গিত করলেন। ৩। দুর্গম তীর্থে রাজকুমারী একলা চলেছেন, তুই এখানে এসে রাজবাড়িতে জানালি নে ? ১। ছুই-একজনকে জানাতে গিয়েছিলেম— আমাকে মারে আর কি ! বলে, আমি নেশা করেছি ! - আর-একজনের প্রবেশ ৪ । কিছুতে রাজি হল না । ২ । কার কথা বলছ । ৪ । আমাদের সভাকবি দত্ত্বর। খুড়োমহারাজের আশ্রয় ছাড়তে সাহস করল না । আজ অভিষেকে কোনোরকমের একটা সভাকবি চাই তো । ও। চাই বৈকি। আজকের মতে রীতরক্ষা করে তার পরে সংক্ষেপে বিদায় করলেই হবে । ৪ । জোগাড় করেছি একটি। মনু, তাকে নিয়ে আসছে। বিদেশী, যাচ্ছে এবতীর্থে, সঙ্গে নারী আছে । ৩ । এর থেকেই ঠাওরালে সে কবি ?