পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ड*डी ጏõግ ৩। আচ্ছা, ছাড়লেম মাসি বলা, যা বললে খুশি হও তাই বলব। আপাতত একখানা মালা দাও-না, ওঁকে পরিয়ে দিই। তৃতীয়া । তোমরা কি লজ্জার মাথা খেয়ে বলেছ! কোথাকার কে তার ঠিক নেই, রাজার অভিষেকের মালা দিতে হবে ? এত সস্তা নয় গো ! ১ । ও-কথা ৰোলো না দিদিশাশুড়ি, রাজা থাকলে স্বয়ং ওকে মালা দিতেন । দ্বিতীয়া । ভরততলির লোক, তোমাদের ব্যাভারটা কী রকম গো । ওকে দিদিশাশুড়ি বল কোন সম্পর্কে। ও আমার বোনঝি। ১। মালি বলতে সাহস হল না। ভাবলুম দাদাশ্বশুরের গ্রামে থাকে, ওই সম্পর্কের নামটা বেমানান হবে না । প্রথমা। ওই-ষে রাজা আসছেন শিবির থেকে ৷ এখনো তো সময় হয় নি। এরা সব গান গেয়ে উৎপাত করে ওঁকে বের করে আনলে । সকলে । জয়, মহারাজ কুমারসেনের জয় ! কুমারসেনের প্রবেশ কুমার। শীঘ্র আমার অশ্ব প্রস্তুত করে । ৩। কবি, ধরে ধরো, একটা গান ধরে শিগগির । বিপাশা। १iांन তোমার আসন শূন্ত আজি, হে বীর পূর্ণ করে, ওই যে দেখি বস্থদ্ধর কাপল থরোথরে । বাজল তুর্ব আকাশপথে, স্বৰ্ষ আসেন অগ্নিরখে, এই প্রভাতে দখিন হাতে বিজয়খড়গ ধরে । ধর্ম তোমার সহায়, তোমার সহায় বিশ্ববাণী । অমর বীর্ষ সহায় তোমার, সহায় বজ্ৰপাণি। দুর্গম পথ সগৌরবে তোমার চরণচিহ্ন লবে, চিত্তে অভয়বর্ম তোমার বক্ষে তাহাই পরে ॥ কুমারসেন। ( বিপাশাকে ইঙ্গিতে কাছে ডেকে ) হঠাৎ এখানে এলে যে । বিপাশা। ছুটি পেয়েছি যুবরাজ। * কুমারসেন। স্থমিত্ৰা ?