পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soğ রবীন্দ্র-রচনাবলী ছুই মাত্রার চলন ক্ষিপ্র, তিন মাত্রার চঞ্চল, চার মাত্রার মন্থর, আট মাত্রার গভীর। তিন মাত্রার ছন্দে ষে পয়ারের মতো ফাক নেই তা যুক্তাক্ষর জুড়তে গেলেই ধরা পড়বে | যথা— * গিরির গুহায় ঝরিছে নিঝর এই পদটিকে যদি লেখা যায় পর্বত- কন্দরে ঝরিছে নিৰ্বর তা হলে ছন্দের পক্ষে সাংঘাতিক হয় । অথচ পয়ারে গিরিগুহাতল বেয়ে ঝরিছে নিবার এবং পর্বতকন্দরতলে ঝরিছে নিৰ্বর ছন্দের পক্ষে দুই-ই সমান। বিষমমাত্রার ছন্দের স্বভাব হচ্ছে, তার প্রত্যেক পদে এক অংশে গতি, আর-এক অংশে বাধা । এই গতি এবং বাধার সম্মিলনে তার নৃত্য । অহহ কল- স্নামি বল- য়াদিমণি- ভূষণং হরিবিরহ- দহনবহ- নেন বহু- দূষণং। তিন মাত্রার ‘অহছ যে ছাদে চলবার জন্যে বেগ সঞ্চয় করলে, দুই মাত্রার ‘কল’ তাকে হঠাৎ টেনে থামিয়ে দিলে, আবার পরক্ষণেই তিন যেই নিজমূর্তি ধরলে অমনি আবার দুই এসে তার লাগামে টান দিলে । এই বাধা যদি সত্যকার বাধা হত তা হলে ছন্দই হত না ; এ কেবল বাধার ছল, এতে গতিকে আরো উসকিয়ে দেয় এবং বিচিত্র করে তোলে। এইজন্যে অন্ত ছন্দের চেয়ে বিষমমাত্রার ছন্দে গতিকে আরো যেন বেশি অনুভব করা যায়। যাই হোক আমার বক্তব্য এই, ছন্দের পরিচয়ের মূলে দুটি প্রশ্ন আছে। এক হচ্ছে, তার প্রত্যেক পদক্ষেপে কাট করে মাত্রা আছে । দুই হচ্ছে, সে মাত্রা সম, অসম, না বিষম অথবা সম-বিষমের যোগ । আমরা যখন মোট করে বলে থাকি যে, এটা চোঙ্গ মাত্রার ছন্দ, বা, ওটা দশ মাত্রার, তখন আসল কথাটাই বলা হয় না । তার কারণ পূর্বেই বলেছি, চাল অর্থাৎ প্রদক্ষিণের মাত্রায় ছন্দকে চেনা যায় না, চলন অর্থাৎ পদক্ষেপের মাত্রায় তার পরিচয় । চোদ মাত্রায় শুধু ষে পয়ার হয় না, আরো অনেক इन्म झ्छ, ठांब्र मृडेखि cनeब्रा बांक । বসন্ত পাঠায় দূত রহিয়া রহিয়া, ষে কাল গিয়েছে তারি নিশ্বাস বহিয়া ।