छ्ञण 'లు চলবেগে আমাদের চৈতন্তকে গতিমান আকৃতিমান করে তুলছে নানাপ্রকার চাঞ্চল্যে। অস্তরে যেটা এসে প্রবেশ করছে সেটা মিলে যাচ্ছে আমাদের চৈতন্তে, সে আর স্বতন্ত্র থাকছে না । ঘোড়ার ছবি দেখি প্রাণিতত্বের বইয়ে । সেখানে ঘোড়ার আকৃতির সঙ্গে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্ত হিসাব ঠিকঠাক মেলে । তাতে খবর পাই, সে খবর বাইরের খবর ; তাতে জ্ঞানলাভ করি, ভিতরটা খুশি হয়ে ওঠে না । এই খবরটা স্থাবর পদার্থ। রূপকার ঘোড়ার যে ছবি অঁাকে তার চরম উদ্দেশু খবর নয় খুশি, এই খুশিট বিচলিত চৈতন্তের বিশেষ উজবোধন । ভালো ছবির মধ্যে বরাবরের মতো একটা সচলতার বেগ রয়েই গেল, তাকে বলা চলে পর্পেচুয়ল মুভমেন্ট ; প্রাণিতত্বের বইয়ে ঘোড়ার ছবিটা চারি দিকেই সঠিক করে বাধা, খাটি খবরের যাথার্থ্যে পিলপে-গাড়ি করা তার সীমানা। রূপকারের রেখায় রেখায় তার তুলি মুদঙ্গের বোল বাজিয়েছে, দিয়েছে স্বৰমার নাচের দোলা । সেই ঘোড়ার ছবিতে চতুষ্পদজাতীয় জীবের খাটি খবর না মিলতেও পারে, মিলবে ছন্দ যার নাড়া খেয়ে সচকিত চৈতন্য সাড়া দিয়ে বলে ওঠে "হ এই তো বটে’ । আপনারই মধ্যে সেই স্বষ্টিকে সে স্বীকার করে, সেই থেকে চিরকালের মতো সেই ধ্বনিময় রূপ আমাদের বিশ্বপরিচয়ের অন্তর্গত হয়ে থাকে । আকাশ কালো মেঘে স্নিগ্ধ, বনভূমি তমালগাছে শু্যামবর্ণ ব্যাপারটা এর বেশি কিছুই নয় ; খবরটা একবারের বেশি দুবার বললে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিই ; কবি বরাবরকার মতো বলতে থাকলেন— মেঘৈর্মেকুরমম্বরং বনভূবঃ গুণমাস্তমালত্রুমৈঃ । কবির মনের মেঘলা দিনের সংবেগ চড়ে বসল ছন্দ-পক্ষিরাজের পিঠে, চলল চিরকালের মনোহরণ করতে । গদ্যে প্রধানত অৰ্থবান শব্দকে বৃহবদ্ধ করে কাজে লাগাই, পষ্ঠে প্রধানত ধ্বনিমান শঙ্ককে বৃহবন্ধ করে সাজিয়ে তোলা হয়। ব্যুহ শব্দটা এখানে অসার্থক নয়। ভিড় জমে রাস্তায়, তার মধ্যে সাজাই-বাছাই নেই, কেবল এলোমেলো চলাফেরা । সৈন্তের ব্যুহ সংহত সংযত, সাজাই-বাছাইয়ের দ্বারা সবগুলি মানুষের যে সম্মিলন ঘটে তার থেকে একটা প্রবল শক্তি উদভাবিত হয় । এই শক্তি স্বতন্ত্রভাবে ষথেচ্ছভাবে প্রত্যেক সৈনিকের মধ্যে নেই। মানুষকে উপাদান করে নিয়ে ছন্দোবিদ্যাসের দ্বারা সেনাপতি এই শক্তিরূপের স্বাক্ট করে। এ যেন বহু-ইন্ধনের হোমহুতাশন থেকে যাজ্ঞসেনীর আবির্ভাব। ছন্দসজ্জিত শৰবৃছে ভাষায় তেমনি একটি শক্তিরূপের স্বষ্টি। চিত্রস্থষ্টিতেও এ কথা খাটে । তার মধ্যে রেখার ও রঙের একটা সামঞ্জস্তবদ্ধ ՀՖՀé
