छ्न्ल ৩৭৩ থাকবার জো নেই। এইখানে একটা তর্জমা করে দিই। লুইসিয়ানাতে দেখলুম একটি তাজা ওক গাছ বেড়ে উঠছে ; একলা সে দাড়িয়ে, তার ডালগুলো থেকে শুীওলা পড়ছে ঝুলে । কোনো দোসর নেই তার, ঘন সবুজ পাতায় কথা কইছে তার খুশিটি । তার কড়া খাড়া তেজালো চেহারা মনে করিয়ে দিলে আমারই নিজেকে । আশ্চর্য লাগল, কেমন করে এ গাছ ব্যক্ত করছে খুশিতে ভরা আপন পাতাগুলিকে, যখন না আছে ওর বন্ধু না আছে দোসর। আমি বেশ জানি, আমি তো পারতুম না। গুটিকতক পাতাওয়ালা একটি ডাল তার ভেঙে নিলেম, তাতে জড়িয়ে দিলেম শু্যাওলা । নিয়ে এসে চোখের সামনে রেখে দিলেম আমার ঘরে ; প্রিয় বন্ধুদের কথা স্মরণ করাবার জন্তে যে তা নয় । (সম্প্রতি ওই বন্ধুদের ছাড়া আর কোনো কথা আমার মনে ছিল না। ) ও রইল একটি অদ্ভূত চিহ্নের মতো, পুরুষের ভালোবাসা যে কী তাই মনে করাবে। তা যাই হোক, যদিও সেই তাজা ওক গাছ লুইসিয়ানার বিস্তীর্ণ মাঠে একলা ঝলমল করছে, বিনা বন্ধু বিনা দোসরে খুশিতে ভরা পাতাগুলি প্রকাশ করছে চিরজীবন ধরে, তবু আমার মনে হয়, আমি তো পারতুম না। এক দিকে দাড়িয়ে আছে কঠিন বলিষ্ঠ সতেজ ওক গাছ, একলা আপন আত্মসম্পূর্ণ নিঃসঙ্গতায় আনন্দময় ; আর-এক দিকে একজন মানুষ, সেও কঠিন বলিষ্ঠ , কিন্তু তার আনন্দ অপেক্ষা করছে প্রিয়সঙ্গের জন্তে— এটি ಮ್ಲೇ বলবার বিষয় নয়। এর মধ্যে কবির আপন মনোভাবের একটি ইশারা আছে। একলা গাছের সঙ্গে তুলনায় একলা বিরহী-হৃদয়ের উৎকণ্ঠা আভালে জানানো হল। এই প্রচ্ছন্ন আবেগের ব্যঞ্জনা, এই তো কাব্য , এর মধ্যে ভাববিস্তাসের শিল্প আছে, তাকেই বলব ভাবের ছন্দ । ཡ─།།ང་། ༦ f চীন-কবিতার তরজমা থেকে একটি দৃষ্টান্ত দেখাই ।