পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इब्ण \లy\లి গীত দেখিতে পাওয়া যায় তাহা কাব্যের মধ্যে স্থান পাইতে পারে না। বাঙালি জয়দেবের গীতগোবিন্দ আধুনিক এবং তাহাকে এক হিসাবে গান না বলিলেও চলে। কারণ, তাহার ভাষালালিত্য ও ছন্দোবিস্তাস এমন সম্পূর্ণ যে তাহা স্বরের অপেক্ষা রাখে না ; বরং আমার বিশ্বাস স্বরসংযোগে তাহার স্বাভাবিক শব্দনিহিত সংগীতের লাঘব করে। কিন্তু, মনে রইল, সই, মনের বেদনা। প্রবাসে যখন যায় গো সে তারে বলি বলি আর বলা হল না । ইহা কাব্যকলায় অসম্পূর্ণ, অতএব স্বরের প্রতি ইহার অনেকটা নির্ভর। সংস্কৃত শব্দ এবং ছন্দ ধ্বনিগৌরবে পরিপূর্ণ। স্বতরাং সংস্কৃতে কাব্যরচনার সাধ গানে মিটাইতে হয় নাই, বরং গানের সাধ কাব্যে মিটিয়াছে। মেঘদূত স্বরে বসানো বাহুল্য। হিন্দীসাহিত্য সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই জানি না । কিন্তু, এ কথা বলিতে পারি, হিন্দীতে যে-সকল ধ্রুপদ খেয়াল প্রভৃতি পদ শুনা যায় তাহার অধিকাংশই কেবলমাত্র গান, একেবারেই কাব্য নহে। কথাকে সামান্ত উপলক্ষমাত্র করিয়া স্বর শুনানোই হিন্দী গানের প্রধান উদ্দেশু, কিন্তু বাংলায় স্বরের সাহায্য লইয়া কথার ভাবে শ্রোতাদিগকে মুগ্ধ করাই কবির উদ্দেশ্য। কবির গান, কীর্তন, রামপ্রসাদী গান, বাউলের গান প্রভৃতি দেখিলেই ইহার প্রমাণ হইবে । অতএব কাব্যরচনাই বাংলাগানের মুখ্য উদ্দেশু, স্বরসংযোগ গৌণ। এইসকল কারণে বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডারে রত্ব যাহা কিছু পাওয়া যায় তাহা গান। শ্রাবণ ১২৯৯ ংগীত ও ছন্দ’ অনেক দিন হইতেই কবিতা লিখিতেছি, এইজন্ত যতই বিনয় করি না কেন এটুকু না বলিয়া পারি না যে, ছন্দের তত্ব কিছু কিছু বুঝি। সেই ছন্দের বোধ লইয়া যখন গান লিখিতে বসিলাম, তখন চাদ সদাগরের উপর মনসার যে-রকম আক্রোশ, আমার রচনার উপর তালের দেবতা তেমনি ফোল করিয়া উঠিলেন। আমার জানা ছিল, ছন্দের মধ্যে ষে-নিয়ম আছে তাহা বিধাতার গড়া নিয়ম, তা কামারের গড়া > সবুজ পত্র ত্রিত গীতের মুক্তি এবাৰ আশ। मूलांघूर्णछ नां# । अंइनंब्रिछब्र अडेदा।