পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|8:్సo 氰 রবীন্দ্র-রচনাবলী তাকিয়ে ছিলেম আসন মেলে, অনেক দূর ষে পেরিয়ে এলে, আঙিনাতে বাড়িয়ে চরণ ফিরলে কঠিন হেসে । তীরের হাওয়ায় তরী উধাও পারের নিরুদ্দেশে । এরই সংস্কৃত রূপান্তর দেওয়া যাক— তোমা সনে মোর প্রেম বাধে কাছে এসে । চেয়েছিছু আঁখি মেলে, বহুদূর হতে এলে, আঙিনাতে পা বাড়িয়ে ফিরে গেলে হেসে । তীর-বারে তরী গেল ওপারের দেশে | মাপে মিলল, কিন্তু লয়ে মিলেছে কি । সমুদ্র যখন স্থির থাকে আর সমুদ্র যখন ঢেউ খেলিয়ে ওঠে তখন তার দৈর্ঘ্যপ্রস্থ সমান থাকে, কিন্তু তার ভঙ্গির বৈচিত্র্য ঘটে । এই ভঙ্গি নিয়েই ছন্দ । বিধাতা সেই ভঙ্গির দিকে তাকিয়েই মুদঙ্গ বাজান, বোল বদলিয়ে দেন, তাই মনের মধ্যে ভিন্ন রকমের আঘাত লাগে । আমি অন্যত্র বলেছি, প্রাকৃত-বাংলার ছন্দে যতিবিভাগ সকল সময় ঠিক কাটা কাটা সমান ভাগে নয়। পাঠক এক জায়গায় মাত্রা হরণ করে আর-এক জায়গায় ওজন রেখে তা পূরণ করে দিলে নালিশ চলে না। এইজন্তে একই কবিতা পাঠক আপন রুচি-অনুসারে কিছু পরিমাণে ভিন্নরকম করে পড়তে পারেন। রূপসাগরে ডুব দিয়েছি অরূপরতন আশা করি । ঘাটে ঘাটে ফিরব না আর ভাসিয়ে আমার জীর্ণ তরী। এই কবিতাটি আমি পড়ি ‘রূপ’ এবং ডুব এবং ‘অরূপ’ শব্দের ধ্বনিকে দীর্ঘ করে। অর্থাং ওই উকারগুলোর ওজন হয় দুই মাত্রার কিছু বেশি। তখন তারই পূরণস্বরূপে ডুব দিয়েছির পরে যতিকে থামতে দেওয়া যায় না । অপরপক্ষে ‘ঘাটে ঘাটে শৰে