পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8X o রবীন্দ্র-রচনাবলী স্বাভাবিক কানের দাবি অনুসরণ করলে দেখা যায়, মন্দাক্রাস্তা ছন্দের চার পর্ব। क्ष५ीं মেঘালোকে | ভবতি মুখিনো | প্যন্তথাবৃৎ । তি চেত: | অর্থাৎ, মাত্রা-হিসাবে আট+সাত+সাত+চার। শেষের চারকে ঠিক চার বলা চলে না । কারণ, লাইনের শেষে এক মাত্রা আন্দাজের ষতি বিরামের পক্ষে অনিবার্য। এই ছন্দকে বাংলায় আনতে গেলে এইরকম দাড়ায়— দূরে ফেলে গেছ জানি, স্মৃতির বীণাখনি, বাজায় তব বাণী মধুরতম । অনুপমা, জেনো অগ্নি, বিরহ চিরজয়ী করেছে মধুময়ী বেদনা মম | সংস্কৃতের অমিত্রাক্ষররীতি অনুবর্তন করা যেতে পারে। যথা— অভাগা যক্ষ কবে করিল কাজে হেলা, কুবের তাই তারে দিলেন শাপ, নির্বাসনে সে রহি প্রেয়সী-বিচ্ছেদে বর্ষ ভরি স’বে দারুণ জালা । গেল চলি রামগিরি-শিখর-আশ্রমে হারায়ে সহজাত মহিমা তার, সেখানে পাদপরাজি স্নিগ্ধছায়াবৃত সীতার স্নানে পূত সলিলধারা । ১৩ মার্চ ১৯৩১ ঐদিলীপকুমায় রায়কে লিখিত গীতাঞ্জলির কয়েকটি গানের ছন্দ সম্বন্ধে কৈফিয়ত চেয়েছ। গোড়াতেই বলে রাখা দরকার গীতাঞ্জলিতে এমন অনেক কবিতা আছে যার ছন্দোরক্ষার বরাত দেওয়া হয়েছে গানের স্বরের পরে। অতএব, ষে পাঠকের ছন্দের কান আছে তিনি গানের খাতিরে এর মাত্রা কম-বেশি নিজেই দুরন্ত করে নিয়ে পড়তে পারেন, র্যার নেই তাকে ধৈর্ঘ অবলম্বন করতে হবে । {.