পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्ञ 8X) তোমার ছন্দের তর্কে আমাকে সালিস মেলেছ । ‘লীলানন্দে’র যে লাইনটা নিয়ে তুমি অভিযুক্ত আমার মতে তার ছন্দঃপতন হয় নি। ছন্দ রেখে পড়তে গেলে কয়েকটি কথাকে অস্থানে খণ্ডিত করতে হয় বলেই বোধ হয় সমালোচক ছন্দঃপাত কল্পনা করেছেন। ভাগ করে দেখাই— नूठा । उधू दि । लांप्न लां । दना इम । আসলে ‘বিলানো? কথাটাকে স্কুভাগ করলে কানে খটকা লাগে । নৃত্য শুধু লাবণ্যবিলানো ছন্দ লিখলে কোনোরকম আপত্তি মনে আসে না, অর্থহিসাবেও স্পষ্টতর হয়। ওই কবিতায় ষে লাইনে তোমার ছন্দের অপরাধ ঘটেছে সেটা এই— সংগীতস্বধা নন্দনে(র) সে আলিম্পনে । ভাগ করে দেখো— সংগী | ত স্বধা । নন্দ । নের সে অা | লিম্পনে । যদি লিখতে— সংগীতস্থধা নন্দনেরি আলিম্পনে তা হলে ছন্দের ক্রটি হত না । যাক । তার পরে ঐকাস্তিকা’ । ওটা প্রাকৃত ছন্দে লেখা । সে ছন্দের স্থিতিস্থাপকতা যথেষ্ট । মাত্রার ওজনের একটু-আধটু নড়চড় হলে ক্ষতি হয় না। তবুও নেহাত টিলেমি করা চলে না । বাধামাত্রার নিয়মের চেয়ে কানের নিয়ম স্বল্প ; বুঝিয়ে বলা বড়ো শক্ত, কেন ভালো লাগল বা লাগল না। ঐকান্তিকা’র ছন্দটা বন্ধুর হয়েছে সে কথা বলতেই হবে। অনেক জায়গায় দূরান্বয়ের জন্তে এবং ছন্দের, বিভাগে বাক্য বিভক্ত হয়ে গেছে বলে অর্থ বুঝতে কষ্ট পেয়েছি। তন্ন তন্ন আলোচনা করতে হলে বিস্তর বাক্য ও কাল -ব্যয় করতে হয়। তাই আমার কান ও বুদ্ধি অনুসরণ করে তোমার কবিতাকে কিছু কিছু বদল করেছি। তুমি গ্রহণ করবে এ আশা করে নয়, আমার অভিমতটা অস্থমাল করতে পারবে এই আশা করেই। ১ কীর্তিক ১৩৩৬ २ তুমি এমন করে সব প্রশ্ন ফাদ ষে দু-চার কথায় সেয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়, তোমার সম্বন্ধে আমার এই নালিশ । ১ । ‘জাবার এরা ঘিরেছে মোর মন’– এই পঙক্তির ছন্দোমাত্রার সঙ্গে ‘দাহ Հ ֆիՀԵ