পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՖին» চূড়ার ছবি জলযাত্রা নেীকে বেঁধে কোথায় গেল, যা ভাই মাঝি ডাকতে, মহেশগঞ্জে যেতে হবে শীতের বেলা থাকতে । , পাশের গায়ে ব্যাবসা করে ভাগ্নে আমার বলাই, তার আড়তে আসব বেচে খেতের নতুন কলাই। সেখান থেকে বাছড়ঘাটা আন্দাজ তিনপোয়া, যদুঘোষের দোকান থেকে নেব খইয়ের মোয়া । পেরিয়ে যাব চন্দনীদ মুন্সিপাড়া দিয়ে, মাললি যাব, পুটকি সেথায় থাকে মায়ে বিয়ে । ওদের ঘরে লেরে নেব দুপুরবেলার খাওয়া ; তার পরেতে মেলে যদি পালের যোগ্য হাওয়া একপহরে চলে যাব মুখ লুচরের ঘাটে, যেতে যেতে সন্ধে হবে খড়কেডাঙার হাটে । সেথায় থাকে নওয়াপাড়ায় পিসি আমার আপিন, তার বাড়িতে উঠব গিয়ে, করব রাত্রিযাপন । তিন পহুরে শেয়ালগুলো উঠবে যখন ভেকে ছাড়ব শয়ন ঝাউয়ের মাথায় শুকতারাটি দেখে । লাগবে আলোর পরশমণি পুব আকাশের দিকে, একটু ক’রে আঁধার হবে ফিকে । বীশের বনে একটি-দুটি কাক দেবে প্রথম ডাক । সদর পথের ঐ পারেতে গোলাইবাড়ির ছাদ আড়াল করে নামিয়ে নেবে একাদশীর টাঙ্গ । উস্থখুস্থ করবে হাওয়া শিরীব গাছের পাতায়, রাঙা রঙের ছোয়া দেবে দেউল-চুড়োর মাখায়।