পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ছেলের গাথা ঘরের দেয়াল, চিহ্ন আছে তারি রঙিন মাটি দিয়ে তাক সিপাই সারি সারি । সেই ছেলেটাই তালুকদারের সর্দারি পদ পেয়ে জেলখানাতে মরছে পচে দাঙ্গা করতে যেয়ে । দুঃখ অনেক পেয়েছে ও হয়তো ভুবছে দেলায়, হয়তো ক্ষতি হয়ে গেছে তিসির বেচাকেনায় । বাইরে দারিদ্র্যের কাট-ছেড়ার আঁচড় লাগে ঢের, তবুও তার ভিতর-মনে দাগ পড়ে না বেশি, প্রাণটা যেমন কঠিন তেমনি কঠিন মাংসপেশী । হয়তো গোরু বেচতে হবে মেয়ের বিয়ের দায়ে, মাসে দুবার ম্যালেরিয়া কঁপিন লাগায় গণয়ে, ভাগর ছেলে চাকরি করতে গঙ্গাপারের দেশে হয়তো হঠাৎ মারা গেছে ওই বছরের শেষে— শুকনো করুণ চক্ষু দুটো তুলে উপর-পানে কণর খেলা এই দুঃখস্থখের, কী ভাবলে সেই জানে ; বিচ্ছেদ নেই খাটুনিতে, শোকের পায় না ফাক, ভাবতে পারে স্পষ্ট ক’রে লেইকেল এমন বাক । জমিদারের কাছারিতে নালিশ করতে এসে কী বলবে যে কেমন ক’রে পায় না ভেবে শেষে । খাটুলিতে এসে বসে যখনি পায় ছুটি, ভাবৃনাগুলো ধেণয়ায় মেলায়, ধোয়ায় ওঠে ফুটি । ওর যে আছে খোলা আকাশ, ওর যে মাথার কাছে শিষ দিয়ে যায় বুলবুলির আলোছায়ার নাচে, নদীর ধারে মেঠো পথে টাট, চলে ছুটে, চক্ষু ভোলায় খেতের ফসল রঙের হরির-লুটে— জন্মমরণ বোপে আছে এরা প্রাণের ধন অতি সহজ ব’লেই তাহ জালে না ওর মন । আলমোড়ল తాగాలీ 3988 துர்