পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন ৩১১ একেবারে তার উলটো দিকে চলে, অথচ তার জন্তে যা দও সে আমাকে একলাই ভোগ করতে হয় । মহাপঞ্চক। পিতার মৃত্যুর পর কী দরিদ্র হয়ে, সকলের কী অবজ্ঞা নিয়েই এই আয়তনে আমরা প্রবেশ করেছিলুম, আর আজ কেবল নিজের শক্তিতে সেই অবজ্ঞা কাটিয়ে কত উপরে উঠেছি— আমার এই দৃষ্টান্তও কি তোমাকে একটু সচেষ্ট করে না ? পঞ্চক। সচেষ্ট করবার তো কথা নয়। তুমি যে নিজগুণেই দৃষ্টাস্ত হয়ে বসে আছ, ওর মধ্যে আমার চেষ্টার তো কিছুমাত্র দরকার হয় না। তাই নিশ্চিন্ত আছি। মহাপঞ্চক। ঐ শঙ্খ বাজল। এখন আমার সপ্তকুমারিকাগাথা পাঠের সময় । কিন্তু বলে যাচ্ছি, সময় নষ্ট কোরো না । [ প্রস্থান গান পঞ্চক। বেজে ওঠে পঞ্চমে স্বর, কেঁপে ওঠে বন্ধ এ ঘর, বাহির হতে ছুয়ারে কর কেউ তো হানে না । আকাশে কার ব্যাকুলতা, বাতাস বহে কার বারতা, এ পথে সেই গোপন কথা কেউ তো আনে না। তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে কেউ তা জানে না । | ছাত্রদলের প্রবেশ প্রথম ছাত্র। ওহে পঞ্চক । পঞ্চক। না ভাই, আমাকে বিরক্ত কোরো না । . দ্বিতীয় ছাত্র। কেন ? হল কী তোমার ? পঞ্চক। ওঁ তট তট তোতয় তোতয়— তৃতীয় ছাত্র। এখনো তট তট তেতিয় তোতয় ঘুচল না ? ও ষে আমাদের কোন কালে শেষ হয়ে গেছে তা মনেও আনতে পারি নে। প্রথম ছাত্র। না ভাই, পঞ্চককে একটু পড়তে দাও ; নইলে ওর কী গতি হবে! এখনো ও বেচারা তট তট করে মরছে— আমাদের যে ধ্বজাগ্রকেয়ূরী পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে ! i