পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ ই রবীন্দ্র-রচনাবলী , দ্বিতীয় ছাত্র। আচ্ছ পঞ্চক, এখনো তুমি চক্রেশম শেখ নি ? পঞ্চক । না । তৃতীয় ছাত্র। মরীচি ? পঞ্চক । না । প্রথম ছাত্র । মহামরীচি ? পঞ্চক । না । দ্বিতীয় ছাত্র। পর্ণশবরী ? পঞ্চক । না । فم দ্বিতীয় ছাত্র। আচ্ছ বলে দেখি, হরেত পক্ষীর নখগ্রে যে পরিমাণ ধূলিকণা লাগে সেই পরিমাণ যদি— পঞ্চক। আরে ভাই, হরেত পক্ষই কোনো জন্মে দেখি নি তো তার নখগ্রের ধূলিকণা ! প্রথম ছাত্র। হরেত পক্ষী তো আমরাও কেউ দেখি নি। শুনেছি, সে দধিসমুদ্রের পারে মহাজস্থদ্বীপে বাস করে। কিন্তু এ-সমস্ত তো জান চাই, নিতান্ত মূখ হয়ে জীবনটাকে মাটি করলে তো চলবে না । দ্বিতীয় ছাত্র । পঞ্চক, তুমি আর বৃথা সময় নষ্ট কোরো না। তোমার কাছে তো কেউ বেশি আশা করে না। অন্তত শৃঙ্গভেরিব্রত, কাকচষ্ণুপরীক্ষা, ছাগলোমশোধন, স্বাবিংশপিশাচভয়ভঞ্জন— এগুলো তো জান চাইই , নইলে তুমি অচলায়তনের ছাত্র বলে লোকসমাজে পরিচয় দেবে কোন লজ্জায় ? তৃতীয় ছাত্র। চলো বিশ্বম্ভর, আমরা যাই। ও একটু পড়ুক । [ গমনোন্তত পঞ্চক । ওহে বিশ্বম্ভর । তট তট তোতয় তোতয়— বিশ্বম্ভর । কেন । আবার ডাকো কেন ? পঞ্চক । সঙ্গীব, জয়োত্তম, তট তট তো তয় তেতিয়— সঞ্জীব। কী হয়েছে ? পড়ো-না। - পঞ্চক। দোহাই তোমাদের, একেবারে চলে যেয়ে না। ঐ শব্দগুলো আওড়াতে আওড়াতে মাঝে মাঝে বুদ্ধিমান জীবের মুখ দেখলে তবু আশ্বাস হয় যে, জগৎটা বিধাতাপুরুষের প্রলাপ নয়। জয়োত্তম । না হে, মহাপঞ্চক বড়ো রাগ করেন । তিনি মনে করেন, তোমার ষে কিছু হচ্ছে না তার কারণ আমরা। পঞ্চক । আমি ষে কারো কোনো সাহায্য না নিয়ে কেবলমাত্র নিজগুণেই