পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী مه ده জয়োত্তম। তোমার আশ্চর্য এই স্বযুক্তিতে উপাধ্যায়মশায়ের বোধ হয়— পঞ্চক । না, কিছু না— তার মনে কিছুমাত্র বিকার ঘটল না। আমার সম্বন্ধে পূর্বে তার যে ধারণা ছিল সেইটেই দেখলুম আরো পাকা হল। সঙ্গীব। আমরা যদি উপাধ্যায়মশায়কে তোমার মতন অমন যা-তা বলতুম তা হলে রক্ষা থাকত না । কিন্তু পঞ্চকের বেলায়— পঞ্চক। তার মানে আছে। কুতর্কটা আমার পক্ষে এমনি সুন্দর স্বাভাবিক যে, সেটা আমার মুখে ভারি মিষ্ট শোনায়। সকলেই খুশি হয়ে বলে, ঠিক হয়েছে, পঞ্চকের মতোই কথা হয়েছে। কিন্তু ঘোরতর বুদ্ধির পরিচয় না দিতে পারলে তোমাদের আদর নেই, এমনি তোমরা হতভাগ্য। জয়োত্তম। ষাও ভাই পঞ্চক, আর বোকো না। আমরা চললুম। তুমি একটু মন দিয়ে পড়ো । [ তিনজনের প্রস্থান পঞ্চক ৷ হবে না, আমার কিছুই হবে না। এখানকার একটা মন্ত্রও আমার খাটল না । গান দূরে কোথায় দূরে দূরে মন বেড়ায় গো ঘুরে ঘুরে যে বঁাশিতে বাতাস র্কাদে সেই বাশিটির সুরে স্বরে। যে পথ সকল দেশ পারায়ে উদাস হয়ে যায় হারায়ে সে পথ বেয়ে কাঙাল পরান যেতে চায় কোন অচিন পুরে। ও কী ও ! কান্না শুনি যে ! এ নিশ্চয়ই স্বভত্র । আমাদের এই আয়তনে ওর চোখের জল আর শুকোল না। ওর কান্না আমি সইতে পারি নে! [ প্রস্থান বালক স্বভদ্রকে লইয়া পঞ্চকের পুনঃপ্রবেশ পঞ্চক। তোর কোনো ভয় নেই ভাই, কোনো ভয় নেই। তুই আমার কাছে বল, কী হয়েছে বল । স্বভত্র । আমি পাপ করেছি। পঞ্চক। পাপ করেছিল ? কী পাপ ?